।। প্রথম কলকাতা ।।
শত্রুদেশের সেনা শিবিরে ঢুকে যায় চীনের গোপন ড্রোন। এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় অস্ত্র পৌঁছতেও পারদর্শী।চীনা অস্ত্র দিয়ে ভারতে কোনও নাশকতার ছক? জঙ্গিদের কাছে কীভাবে লোভনীয় হয়ে উঠছে, চীনের শক্তিশালী অ্যাকশন ক্যামেরা ড্রোন ?
সমুদ্রে নজরদারি চালানোর জন্য চীনের আন্ডারওয়াটার ড্রোনের নাম শুনেছেন। কিন্তু জিংপিংয়ের সেনার বিশেষ কৌশলে তৈরি অ্যাকশন ক্যামেরা ড্রোনের ক্ষমতা জানেন? কখন কোন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে এই আকাশযান, তা বোঝা ভীষণমই মুশকিল। চীনা এই উড়ন্ত রোবটকেই কাজে লাগাচ্ছে জঙ্গিরা, আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। ভারতে কোনও হামলার ছক?কীভাবে জঙ্গিদের কাছে সন্ত্রাসবাদের অস্ত্র হয়ে উঠছে এই চীনা ড্রোন?
চীনের অস্ত্রভাণ্ডারে ড্রোনগুলির মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক অ্যাকশন ক্যামেরা ড্রোন। প্রত্যন্ত জায়গায় নজরদারিতে তুখোড়়।যুদ্ধ অথবা জঙ্গি দমন অভিযানে ব্যবহার হয়। এই ক্যামেরা লাগানো যায় জওয়ানদের হেলমেটের উপরেও যুদ্ধক্ষেত্রে হেলমেটের ক্যামেরা। নিজে থেকেই রেকর্ড করে ভিডিও ফুটেজ। একটি মূল শিবির থেকে সেই ভিডিও ফুটেজ দেখে সেনাদের নিয়ন্ত্রণ করেন অফিসাররা। বুঝে নেওয়া যায় আশপাশের পরিস্থিতি। যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুদেশের সেনা দূরে কোনও বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকলেও সহজেই খোঁজ পেয়ে যায় লাল ফৌজ। কখনও এই ড্রোন যুদ্ধাস্ত্রেরও কাজ করে।
যুদ্ধে সশস্ত্র ড্রোনকে কাজে লাগায় চীন।
ভারতের মাটিতে চীনা এই ড্রোনকেই হাতিয়ার করছে দেশ বিদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলো। গোয়েন্দাদের দাবি, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীই চিন থেকে চোরাপথে পাচার করেছে এই আধুনিক উড়ন্ত রোবট। ভারতের আনাচে কানাচেও ছড়িয়ে যাচ্ছে চীনের আকাশযান বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা বাহিনী। ড্রোনকে বলা হয় চালকবিহীন আকাশ যান। কিন্তু চীনের অ্যাকশন ক্যামেরা ড্রোন। আকারে একদম ছোট হলেও, ক্ষমতায় নয়। শত্রপক্ষের সেনার চোখের ধুলো দিয়ে সহজেই ব্যবহার করা যায়।ভারী বৃষ্টি বা ঝড়েও নিজের কাজ চালিয়ে যায় এই বিশেষ ড্রোন।এমনকি রাতেও স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ তুলতে পারে।এই ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র পাচার করাও সম্ভব। সম্প্রতি কলকাতার ম্যাডন স্ট্রিট থেকে উদ্ধার হয় চারটি আধুনিক চীনা ড্রোন।নাশকতার জাল ছড়াতে চিনের গোপন এজেন্টরা কুরিয়রের মাধ্যমেও এদেশে পাচার করছে চীনা ড্রোন। তাহলে কী চীনা ড্রোনকে কাজে লাগিয়ে ভারতে, বড় নাশকতার ছক কষছে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী?
ড্রোনকে প্রথমবার সামরিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আমেরিকা। এরপর থেকে বিভিন্ন দেশের সেনায় বেড়েছে ড্রোনের ব্যবহার। নজরদারির পাশাপাশি, অস্ত্র হিসেবেও ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি গোয়েন্দাদের আশঙ্কা তাহলে কী! এদেশের জঙ্গলের মধ্যে গোপন শিবির থেকে ওই ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে জঙ্গি নেতারা? প্রয়োজন মতো পালটানো হচ্ছে অ্যাকশন প্ল্যান?সরকারি ভবনগুলির আশপাশেও গুপ্তচরবৃত্তির জন্যও এই বিশেষ ড্রোন। ব্যবহার করার ছক কষতেও পারে জঙ্গি বাহিনী।তাহলে কি ড্রোন দিয়ে সীমান্তে হামলাও হতে পারে?
ভারতের জায়গায় জায়গায় নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবেভারতীয় সেনার তৎপরতায় ড্রোনের আনাগোনা কিছুটা কমলেও বন্ধ হয়নি। সশস্ত্র ড্রোনও ভারতীয় আকাশসীমায় পাঠানোর জন্য নানা ফন্দি-ফিকির খুঁজছে চীনা ও পাক জঙ্গিরা। তবে ভারতও তৈরি। শত্রুসেনার যে কোনও হামলা রুখে দেওয়ার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোনও আছে ভারতের হাতে। শত্রুসেনার ড্রোন ধ্বংস করার জন্য আরও বেশি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম সীমান্তে মোতায়েন করার তোড়জোড় করছে ভারত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম