।। প্রথম কলকাতা ।।
Chanchal Chowdhury: ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকায় শীর্ষে নাম থাকে তাঁর। এমনকি এপার বাংলাতেও তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা যায় মানুষের মধ্যে। তাঁর নাম মাথায় এলেই ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে ‘সাদা সাদা কালা কালা, রঙ জামেছে সাদা কালা…’। কিন্তু দর্শক মণ্ডলীর সবথেকে প্রিয় এই অভিনেতার এখনও ঘোর কাটেনি। কিছুদিন আগে বাবাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)। এখনও মানতে পারছেন না যে, বাবা তাঁর কাছে নেই। খালি মনে হচ্ছে, এটা যেনো দুঃস্বপ্ন। প্রায় দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবাকে মনে করে পুরনো দিনের কথা ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন তিনি। এবার মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার মুহূর্ত শেয়ার করতে গিয়েও মনে করেছেন বাবাকে।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের সঙ্গে ভিডিও কল করার ছবি পোস্ট করে অভিনেতা লেখেন, ‘বহুদিন পর মায়ের মুখে এরকম হাসি দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল’। সেইসঙ্গে অভিনেতা লিখেছেন, ‘বাবা চলে যাওয়ার পর আমরা সবাই যখন শোকে ভেঙে পড়ি, উল্টো আমাদের মাই আমাদের বুকের কাছে টেনে নিয়ে শান্তনা দেয়’। এই মুহূর্তে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji) ‘পদাতিক’-এর (Padatik) শ্যুটিংয়ে মায়ের থেকে দূরে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। বাবা চলে যাওয়ার পরপরই কলকাতায় (Kolkata) আসতে হয়েছে তাঁকে। বেশীদিন মায়ের কাছে থাকতেও পারেন নি। তাই নিয়ে এক প্রকার আফসোস করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
চঞ্চল বাবুর কথায়, ‘মাঝে মাঝে ভিডিও কলে কথা বলি সবার সাথে, মায়ের সাথে…শক্তি আর শান্ত্বনা খুঁজে বেড়াই…কাজ করে চলি’। শোক ভুলতে তিনি নিজেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মাঝে মধ্যে ঘোর কাটে না। কাজের মাঝে মনে হয়, দেশে ফিরলেই তো বাবাকে দেখতে পাবেন। কিন্তু পরক্ষণেই চোখের কোনায় জল জমে, আবার বাস্তবে ফিরে আসেন। বাবার কথা মনে করে তিনি লেখেন, ‘মা খুব সুন্দর করে ভিডিও কলে কথা বলতে পারে, মানে ফ্রেমিংটা খুব সুন্দর হয়। আর বাবা ছিল ঠিক বিপরীত, ফ্রেমিং খুব বাজে। ভিডিও কলে বাবার পুরো চেহারাটা কখনও দেখা হয়নি। কেমনভাবে যেন ফোনটা মুখের সামনে ধরতো, হয় শুধু কপাল, না হয় শুধু থুতনি দেখা যেত। প্রায়ই তাঁর আঙুল লেগে ভিডিও অফ হয়ে যেত। অনেক রাগ করতাম বাবার ওপর, কেন ভিডিও কল করা ভালোমত শিখছে না’।
বাবা-মা ছেলে-মেয়েদের কাছে একটা ভরসার জায়গা। ছেলে-মেয়েরা যতই বড় হয়ে যাক না কেন, বাবা-মা সবসময় তাঁদেরকে বটগাছের মতো আগলে রাখে। আর যখন তাঁরা চলে যায়, তখন তাঁদের হারানোর যন্ত্রণাটা বলে কখনোই প্রকাশ করা যায় না। জীবনে যেন অন্ধকার নেমে আসে। চোখের জল কখনও বাঁধ মানতে চায় না। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে কাটানো সময়গুলোর মূল্য বোঝা যায়। সেই স্মৃতিগুলোই থাকে একমাত্র ভরসা। শেষে এসে অভিনেতা লিখেছেন, ‘মায়েদের মুখের হাসি মনে হয় সকল সন্তানের অন্তরেই শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। মায়ের কপাল থেকে লাল টকটকে সিঁদুর মুছে গেছে সত্য, তবে হাসিটুকু যেন আমৃত্যু থেকে যায়’।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম