।। প্রথম কলকাতা।।
Benefits Of Potato: বাজারে মরশুম অনুযায়ী সবজি আসে-যায়। কিন্তু কিছু কিছু সবজি রয়েছে যেগুলি আপনি সারা বছর নিশ্চিন্তে পেতে পারেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল আলু ( Potato)। এই সবজি যেকোনো ধরনের রান্নায় খুব ভালোভাবে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে পারে। আর যদি কোন বাঙালি বাড়ির কথা বলা হয় তাহলে তো অলিখিত নিয়ম মেনে চলা হয়। অর্থাৎ আলু ছাড়া কোন রান্নাই সম্ভব নয়। সকালের জলখাবার থেকে শুরু করে রাতের ডিনার সবকিছুতেই আপনি কোনো না কোনো রান্নায় আলু ঠিকই খুঁজে পাবেন । কিন্তু এত বেশি পরিমাণে আলু ব্যবহার করার পরেও তার খোসা নিয়ে বিশেষ কারও মাথাব্যথা থাকে না।
সাধারণত সেই খোসা ( Peel) ফেলে দেওয়া হয় । যদি আপনিও এই দলেই পড়েন তাহলে আজ থেকে বন্ধ করে দিন আলুর খোসা ফেলে দেওয়া । খোসা সমেত আলু আপনাকে বিভিন্ন উপকার দিতে পারে। ত্বক থেকে শুরু করে চুল এমনকি পেটের সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী আলুর খোসা ।একাধিক গবেষণার মাধ্যমে উঠে এসেছে আলুর মধ্যে থাকে ভিটামিন সি , পটাশিয়াম , আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন বি৩ , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , ডায়েটরি ফাইবার, মিনারেল প্রভৃতি। আর এই উপাদানগুলি আমাদের শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী তা কমবেশি সকলেই জানেন। চলুন জানা যাক আলুর খোসা থেকে কী কী উপকার পেতে পারেন ।
প্রথমত ত্বকের যত্নে ( Skin Care) আলুর খোসা ব্যবহার করা যায়। অনেকেরই চোখের নিচে কালো দাগের সমস্যা থাকে আবার সূর্যের আলোতে ত্বকে ট্যানের সমস্যা দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে আপনি আলুর খোসা পিষে নিয়ে তার রস বের করে মাখতে পারেন। নিয়মিত এই কাজটি করতে পারলে ফল মিলবে হাতেনাতে। যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে কিংবা রক্তাল্পতায় ভুগছেন তাঁরা খোসা সমেত আলু রান্না করুন । যেহেতু আলুর খোসায় আয়রনের পরিমাণ বেশ ভালোই থাকে তাই সেটি রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরলের ( Cholesterol) রোগীরা আলুর খোসা থেকে উপকার পেতে পারেন । কারণ এর মধ্যে রয়েছে ডায়েটরি ফাইবার। আর হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আলুর খোসায় উপস্থিত থাকে পটাশিয়াম। এছাড়াও আলুর খোসা থেকে ভিটামিন বি৩ তো পাওয়াই যায় । আমরা যেখানে খাবারে ফাইবার খুঁজি সেখানে আলুর খোসার মধ্যেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার । তাই নিজের পরিপাকতন্ত্রকে একেবারে সুস্থ রাখতে খোসা সমেত আলু খাওয়ার চেষ্টা করুন। চুল ( Hair) নিয়ে বহু মানুষ সমস্যায় ভোগেন । অনেকের আবার অল্প বয়সে চুলে পাক ধরতে দেখা যায়। তাদের জন্যও আলুর খোসা বেশ উপকারী। আধ লিটার জলের মধ্যে একবাটি আলুর খোসা ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। জলটি এত ফোটান যাতে সেটি ঘন হয়ে তিন চার চামচ মতো হয়ে যায় । সেই জলটি চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগান। কয়েকবার এই তরল অ্যাপ্লাই করলেই পরিবর্তন বোঝা যাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম