।। প্রথম কলকাতা ।।
Green Chilli: লঙ্কা কাটার পর অনেকসময় ভীষণ হাত জ্বালা করে। জলে ডুবিয়েও শান্তি পাওয়া যায় না। সেই মুহূর্তে কি করা উচিত জানা আছে ? এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা আছে যেগুলি কাজে লাগালে চট করে হাত জ্বালা একদম কমে যাবে। কি সেই উপায়? লঙ্কার মধ্যে থাকে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক এক বিশেষ জৈব পদার্থ। এই পদার্থের উপস্থিতির কারণেই লঙ্কা ঝাল লাগে। যা মাঝেমধ্যে জল বা সাবান দিয়ে হাত ধুলেও যেতে চায় না।
কাঁচালঙ্কা ছাড়া রান্নাবান্না ভাবাই যায় না৷ গৃহিণীদের প্রায় রোজই রান্নাঘরে লঙ্কা কাটাকুটি করতে হয়৷ খাওয়ারে স্বাদ আনলেও লঙ্কা কাটতে গিয়েই হয় বিপত্তি৷ লঙ্কার ঝাল লেগে হাত প্রচন্ড জ্বালা করে৷ এই জ্বালা সহজে কমতেও চায় না৷ আর সেই হাত যদি কোনওভাবে মুখে চলে যায় তাহলে তো আর রক্ষে নেই। মুখ, চোখ জ্বালা করে, হাত লাল হয়ে যায়। তবে, এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা আছে যেগুলি কাজে লাগালে খুব সহজেই উধাও হবে এই জ্বালা৷ এই প্রতিবেদনে তেমনই কিছু অতি সাধারণ ঘরোয়া উপায়ের আপননাদের জানাবো,
হাতের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দিতে পারে অ্যালোভেরা জেল৷ এক চামচ অ্যালোভেরা জেল হাতের তালুতে নিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। অল্প সময়ের মধ্যেই জ্বালা থেকে মুক্তি পাবেন৷
আটাও হাতের জ্বালাভাব কমিয়ে দিতে পারে ৷ লঙ্কার ঝাল লেগে জ্বালা করলে আটা মাখতে পারেন৷ ঝাল তো কমবেই সেইসঙ্গে আটাও তৈরি রুটি করার জন্য৷ হাতে বেশি জ্বালা করলে বেশি সময় ধরে মাখতে থাকুন আটা৷
লঙ্কার জ্বালা দূর করতে ভরসা করতে পারবেন ঠান্ডা তেলের ওপর৷ পেপারমিন্ট ওয়েলের ঠান্ডা ভাবে জ্বালা কম আসবে৷ জ্বালা কমার সঙ্গে পেপারমিন্ট ওয়েল ময়েশ্চারাইজারের কাজও করবে৷
দইয়ের অনেক গুণ৷ তার মধ্যে এটিও একটি৷ দই লঙ্কার জ্বালা কমিয়ে দেয় খুব তাড়াতাড়ি৷ জ্বালা ধরা জায়গায় দই লাগিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন৷ এতেই মুক্তি পাবেন জ্বলনের হাত থেকে৷ হাতের জ্বালাভাব কমাতে দই না থাকলে ঠান্ডা দুধও হাতে লাগাতে পারেন।
লঙ্কা কাটার পর বা বাটার পর হাত যদি জ্বালা করে তাহলে মধুর ব্যবহার করতে পারেন। মধু দুই হাতে ভালো করে লাগিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও একটি কার্যকরী টোটকা হলো ভিনেগার, লেবুর রস আর জল মিশিয়ে আইস কিউব বানিয়ে নিন। সেটাকে হাতে লাগালেও জ্বালাপোড়া কমে যায়। বা বরফের জলে হাত চুবিয়েও রাখতে পারেন কিছুক্ষণ।
আর সবথেকে ভালো হয় যদি লঙ্কা কাটার সময়ই সাবধান হতে পারেন। লঙ্কা কাটার আগে হাতে গ্লাভস পরে নিন৷ এতে লঙ্কার ঝাল লাগার সম্ভাবনাই থাকে না৷ ফলে জ্বালার ভয়ও নেই৷ হাত কেটে যাওয়ার ভয়ও এড়ানো যায়৷
আর ছুরির বদলে কাঁচি দিয়ে লঙ্কা কাটতে পারেন৷ চপিং বোর্ড ব্যবহার করলেও লঙ্কা হাতে লাগার সম্ভাবনা কম৷
ব্যাস, এই সমস্ত টোটকা গুলি যদি কাজে লাগাতে পারেন তাহলে লঙ্কা কাটার পর ওই বিভৎস জ্বালা আর সহ্য করতে হবে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম