।। প্রথম কলকাতা ।।
Nadia Youtuber: করোনা (Corona) আর লকডাউন (Lock Down) এসে জীবন পুরো ওলটপালট করে দেয়। একজন ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক আর অপরজন ইটভাটায় কাজ করতেন। কিন্তু এখন এনাদের মাসিক আয় (Monthly Income) শুনলে চমকে যাবেন। বর্তমানে বাংলার সবথেকে জনপ্রিয় ইউটিউব তারকা (Famous youtuber)। মাস গেলে ইনকাম ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা। ফলোয়ার্সের সংখ্যা প্রায় ৭ মিলিয়ন। মাঝে মাঝে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ইউটিউব স্ক্রল করতে করতে দেখবেন কিছু শিশুর ভিডিও চলে এসেছে। যারা মজার ছলে তুলে ধরছে সমাজের বাস্তবতা। নামি দামি কিংবা বিলাস বহুল কোন শুটিং স্পট নয়, একদম সাদামাটা গ্রাম্য পরিবেশে অভিনয়। আর তাতেই বাজিমাত করেছে নদীয়ার (Nadia) রবিউল শেখ এবং হারুন শেখ।
দু’জনের বয়স মাত্র ২৬ বছর। এনাদের ভিডিওতে খুব একটা দেখা যায় না, তবে শিশু শিল্পী নিয়ে কাজ করছেন। এই দুই যুবক একসময় টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেননি। সংসার চালাতে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছে করতেন। কিন্তু লকডাউনে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অসহায় হয়ে ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। এই গল্পটা নদীয়ার থানার পাড়ার রবিউল শেখের। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে সংসারের হাল কাঁধে তুলতে হয়েছিল। পড়াশোনার ইচ্ছা থাকলেও করতে পারেননি। লকডাউনে কাজ হারানোর পর শুরু হয় অন্য জীবন। রবিউলের সঙ্গী হন হারুন শেখ। তিনি ইটভাটা শ্রমিকের কাজ করতেন। মাত্র দু বছরে ইউটিউবে ভিডিও দিয়ে এখন এনারা কোটি টাকার মালিক। প্রায় প্রত্যেকটি ভিডিও মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ পেয়েছে। আয় প্রতি মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা। চ্যানেলের নাম পল্লী গ্রাম টিভি। মোটামুটি ধারণা অনুযায়ী , যে সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার রয়েছে সেক্ষেত্রে প্রতি বছর আয় হতে পারে প্রায় সাত কোটি টাকা। ভিডিওর গল্প একেবারে নিখাদ গ্রাম্য জীবন থেকে নেওয়া। প্রেম, পারিবারিক অশান্তি, বিবাহ, অনুষ্ঠান, সম্পর্কের টানাপোড়েন, বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ববোধ ভাই বোনের সম্পর্ক সহ নানান বিষয়। আর রয়েছে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের গল্প।
বছর তিনেক আগে রবিউল আর হারুনের জীবনের সংগ্রাম মিলেছিল এক জায়গায়। প্রথমে হাসির উপাদান মিশিয়ে নানান পোস্ট করতেন। তারপর সাদামাটা গ্রাম্য ভাষায় ছোট ছোট হাসির নাটক থেকে কয়েক দিনের মধ্যে ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। ১ লক্ষ সাবস্ক্রাইবারের গণ্ডি পেরোতে সময় লেগেছে মাত্র কয়েক মাস। তাদের কাছে সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে বলেন, তারা পড়াশোনা জানেন না। ভালোভাবে গুছিয়ে কথা বলেন না, তবে তাদের কাছে প্রচুর গল্প আছে। সেই গল্পই সাফল্যের চাবিকাঠি। রবিউল আর হারুন শুধুমাত্র নিজেদের জীবনের আর্থিক সংকট দূর করেননি, পাশাপাশি অন্ন যুগিয়েছে বহু পরিবারের। এক ঝাঁক শিশু শিল্পী নিয়ে তারা কাজ করেন। এই চ্যানেলটি ঘুরে আসলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। এখানে রয়েছে দমফাটা হাসির নানান মজার ভিডিও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম