।। প্রথম কলকাতা ।।
Punjab and Haryana High Court: একজন সাইকোপ্যাথিক(psychopathic) রাগী স্ত্রীর(wife) সঙ্গে থাকা জীবনভর অত্যাচারের মতো। এমনটাই জানিয়েছে হাইকোর্ট( High Court)। পাশাপাশি স্বামীর দায়ের করা বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনের অনুমতি দিয়েছে। আদালতে এক ব্যক্তি বিবাহ বিচ্ছেদের( divorce) মামলা দায়ের করার পরই, স্ত্রী যৌতুককে কেন্দ্র করে স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর(FIR) দায়ের করেন। সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট(Punjab and Haryana High Court) বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছে।
• আসল ঘটনা
এক ব্যক্তি আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং তিনি আবেদনে জানান ২০১১ সালের বিয়ে করেছিলেন। তিনি অমৃতসরে থাকেন। বিয়ের কিছুদিন পরেই তার স্ত্রীর রাগান্বিত মনোভাব প্রকাশ্যে আসতে থাকে। সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে মানসিক অস্বস্তি। যার কারণে ওই ব্যক্তি এবং তার পরিবারকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাদের মেয়ের জন্মের পর থেকে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে থাকে। প্রথম দিকে তার স্ত্রী ঘরের কাজ করতে অস্বীকার করেছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি তার স্বামীকে এবং তার পরিবারকে জনসম্মুখে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। স্ত্রীর এমন ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। এই ঘটনার পরেই ওই মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি করার অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করেন। পরে দুজনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার মীমাংসা হয় এবং এফআইআর বাতিল হয়ে যায়।
কিছুদিন পরে আবার একই ঘটনা ঘটতে থাকে। সময়ের সাথে সাথে ওই মহিলা আরও নিষ্ঠুর হয়ে ওঠেন এবং কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ বাড়ি থেকে বের হয়ে মামার বাড়িতে চলে যান। তখন বাধ্য ওই ব্যক্তি পুনরায় বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। অপরদিকে তার স্ত্রী আবারও যৌতুকের মামলা করেন। ওই মহিলার দাবি অনুযায়ী, যৌতুকের জন্য তাকে অপমান করা হত। এমনকি বাবার সম্পত্তিতে অংশের দাবিতেও চাপ দিতেন। তিনি তার স্বামীর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
• যৌতুক আইনের অপব্যবহার
২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ঘটা ঘটনা গুলির বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যৌতুক জনিত কারণে দেশে প্রতি ঘন্টায় গড়ে একজন নারীর মৃত্যু হয়। আর এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই যৌতুকের জন্য নির্যাতিত মহিলাদের ঢাল হিসাবে তৈরি হয়েছিল আইন। কিন্তু সেই আইনের এখন অপব্যবহার শুরু হয়েছে। অনেকেই এই আইনকে ভয় দেখিয়ে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগান। যৌতুক আইনের কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হন সেক্ষেত্রে তিন বছর পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টও বেশ কয়েকবার এই আইনের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি এই সমস্যা উত্তরোত্তর বাড়ায়, সমস্ত অভিযোগ ভালোভাবে তদন্ত করা হয়। আগে পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করত। কিন্তু এখন প্রথমে তদন্ত চলে। অপরাধী দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন না। পাঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্ট আপাতত ওই ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন এবং জানিয়েছেন একজন সাইকোপ্যাথিক রাগান্বিত স্ত্রীর সঙ্গে জীবনভর থাকা অত্যাচারের সমান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম