।। প্রথম কলকাতা ।।
Rice stem borer: পাকা ধানে বাদামি শোষক পোকা হামলা করেছে? তাহলে সময় নষ্ট না করে এখনই ধান কেটে ফেলুন। রাজ্যের ধান চাষীদের এমনই পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি দফতর। কৃষি দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, জমির ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেলেই তা এখন কেটে ফেলা দরকার। তাতে বাদামী শোষক পোকার ক্ষতির হাত থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে। সেই সঙ্গে যে সব জমিতে ধান পাকতে দেরি রয়েছে সেখানে কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য জুড়ে ধান কাটার মুখে শোষক পোকার হামলা চলছে। তাতে মাথায় হাত চাষিদের। এই পরিস্থিতিতে চাষিদের সহায়তা দিতে মাঠে নেমেছে কৃষি দফতরও। এই পরিস্থিতিতে চাষিদের কী করণীয় তা জানাতে জেলায় জেলায় প্রচার শুরু হয়েছে।কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এখনও ঠিকভাবে শীত না পড়ায় বাদামি শোষকের প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। গত বছরও এই রোগের হানায় ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন কৃষকরা। এই পোকা ধান গাছের গোড়ায় হানা দেয়। ধান গাছে রস শুষে খেয়ে নেয়। এই পোকার আক্রমণে ধান গাছ ধীরে ধীরে ঝলসে যায়। ফলন মার খায়।বাদামী শোষক পোকা হল একটি সুপরিচিত ধানের পেস্ট। এটি ধানগাছের পাতা কান্ড থেকে রস শুষে নিয়ে গাছটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তার জেরে গাছ হলুদ হয়ে যায়। ধান শুকিয়ে গিয়ে জমিতে হলুদ থেকে বাদামি রঙের একটি দাগের সৃষ্টি করে যাকে বলা হয় ধানের হপারবার্ন। বাদামী শোষক পোকা উচ্চ আর্দ্রতায়, উচ্চ তাপমাত্রায়, উচ্চমাত্রায় নাইট্রোজেন প্রয়োগের ফলে ও বায়ুহীন পরিবেশে সমৃদ্ধ হয়।
কৃষি দফতরের তরফে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জমির কোনও অংশে তিনটি গুছিতে ১০টির বেশি পোকা থাকলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি, জমির জল বের করে দিয়ে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে ধানগাছ ঠেলা দিয়ে ফাঁক করে দিতে হবে। যাতে ভালোভাবে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। রোগ পোকার আক্রমণ বেশি হলে বিশেষ কীটনাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি আধিকারিকরা। ধান উৎপাদন হয় এমন প্রতিটি ব্লকেই ধারাবাহিক ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমির ধান ৮০ শতাংশ পেকে গেলে তা কেটে খামারজাত করতে বলা হচ্ছে চাষিদের। এর ফলে শোষকের হানা হলেও সেভাবে তা ক্ষতি করতে পারবে না। পাকা ধান জমিতে রেখে দিলে শোষক পোকা তা নষ্ট করে দেবে। তাই দ্রুত পাকা ধান কেটে খামারে তুলে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি দফতর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম