।। প্রথম কলকাতা ।।
এশিয়ার সবথেকে বড় দুর্গাপুজো বাংলাদেশে! এক মণ্ডপে ৫০১ টা প্রতিমা। বলবে রামায়ণ মহাভারত পুরাণের গল্প। একের পর এক দুর্দান্ত চমক। থাকবে অতিকায় ঘুমন্ত কুম্ভকর্ণ, যা আগে দেখেননি। বাংলাদেশের এই দুর্গাপুজো গোটা এশিয়ায় বিখ্যাত। ব্যক্তি উদ্যোগে তাক লাগাচ্ছে বাগেরহাটের সিকদার বাড়ির পুজো। বিশাল বড় মণ্ডপ। দেখলে তাজ্জব হয়ে যাবেন।
এই পুজো মণ্ডপে দেবী দুর্গা কখনো ৭০১ রূপে, কখনো বা ৫০১ রূপে উপস্থাপিত। এত বড় দুর্গাপুজো এশিয়ায় নাকি দুটো খুঁজে পাওয়া যায় না। দাবি পুজো আয়োজকদের। পুজোর দিনগুলোতে ভিড় থাকে দেখার মতো। তিল ধারণের জায়গা থাকে না। অনেকে ভালোভাবে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন না বলে, পুজোর আগেই মণ্ডপ ঘুরে যান। মণ্ডপে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগের কাহিনী ফুটিয়ে তুলতে দেবীকে বিভিন্ন রকম ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মৃৎ শিল্পীদের সৃজনশীলতা এবং তুলির ছোঁয়ায় মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি হয়ে উঠেছে চিন্ময়ী। এই মণ্ডপ কিন্তু কলকাতার নয়, বা পশ্চিমবঙ্গেরও নয়। রয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের বাগেরহাটের হাকিমপুর এলাকায়। সিকদার বাড়ির পুজো বললে যে কেউ আপনাকে দেখিয়ে দেবে। এই দুর্গাপুজোতে চমকের অভাব নেই। প্রতিমা এবং অভিনব মণ্ডপের জন্য বেশ নামডাক রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে থাকে কড়া পাহারা। ভীষণ সতর্ক থাকেন পুজো কর্মকর্তারা। নজরদারি চালায় এক গুচ্ছ সিসিটিভি ক্যামেরা। নিরাপত্তার বিষয়ে দেখভাল করতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
দুর্গাপুজো মানেই যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের উৎসব এমনটা কিন্তু এক্কেবারে নয়। যেখানে বাঙালি আছে সেখানেই পুজোর গন্ধ। বাংলাদেশের নাম বললেই সর্বপ্রথম মাথায় আসে ঢাকার দেবী ঢাকেশ্বরীর কথা। আমাদের পড়শি দেশে দুর্গাপুজোর সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রতিবছর হাজার হাজার মণ্ডপে দুর্গাপুজো হয়। বলা হয়, বাংলাদেশের সব থেকে বেশি দুর্গা পুজো হয় চট্টগ্রামে। দিনের পর দিন বাড়ছে মণ্ডপ সংখ্যা। প্রতিমার পাশাপাশি নজর কাড়ে মণ্ডপ থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা। রাস্তা এবং এলাকা সাজানো হয় ব্যানার, রঙিন মূর্তি, কখনো বা নিয়ন লাইট দিয়ে।
সিকদার বাড়িতে পুজোর আয়োজন শুরু হয়ে যায় বহু আগে থেকে। মাসের পর মাস প্রতিমা শিল্পীরা রাত দিন জেগে পরিশ্রম করেন। লিটন শিকদার নামক এক ব্যবসায়ী এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা। যত বছর যাচ্ছে, ততই বাড়ছে প্রতিমা সংখ্যা। ২০২৩ এর পুজো মণ্ডপটা আরো স্পেশাল হতে চলেছে। আকর্ষণীয় করে তুলবে ৬৫ ফুটের ঘুমন্ত কুম্ভকর্ণের মূর্তি। শুধু বাংলাদেশ নয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বহু দর্শনার্থী এখানে যান। এ বছর বাংলাদেশের বাগেরহাটে প্রায় ৬৩৯টি মণ্ডপে দেবী আরাধনার আয়োজন করা হবে। যার মধ্যে অন্যতম সিকদার বাড়ি। যেখানে থাকবে ৫০১টি প্রতিমা। জোর কদমে চলছে দেবী বরণের প্রস্তুতি। এই বহুমাত্রিক প্রতিমা দিয়ে মা দুর্গা বন্দনার পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল ২০১০ সাল থেকে, তখন মণ্ডপের প্রতিমার সংখ্যা ছিল ১৬৫টি, ২০১৯ পর্যন্ত প্রতিমা ছিল ৭০১ টি। এবার থাকবে ৫০১ টি প্রতিমা। তাই তো এই পুজোর আয়োজকরা বারংবার দাবি করেন, এটি এশিয়ার অন্যতম বড় পুজো মণ্ডপ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম