।। প্রথম কলকাতা।।
Road Accident Database: রাজ্যে প্রতিদিন শুধুমাত্র পথ দুর্ঘটনার ( Raod Accident) কারণে কত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন তার কোন ঠিকানা নেই। কিছু কিছু ঘটনা পুলিশের নজরে আসলেও এমন বহু ঘটনা থাকে যেখানে দুর্ঘটনাগ্রস্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপরে মৃত্যু হয়। গ্রামাঞ্চল কিংবা দুর্গম এলাকায় পথ দুর্ঘটনার কারনে মৃত্যু হলে তা পুলিশের কান পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায় না। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনা প্রতি বছর বহু সংখ্যক মানুষের প্রাণ কাড়ছে। এমতাবস্থায় রাজ্যে চালু হতে চলেছে ইন্টিগ্রেটেড রোড অ্যাক্সিডেন্ট ডাটাবেস ( IRAD) । এর মাধ্যমে এবার তথ্য সংগ্রহ করা থাকবে , যে কোথায় দুর্ঘটনা হয়েছে কীভাবে কখন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, আসল কারণ কী ছিল এবং কিভাবে তার সমাধান হবে।
নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ডেটাবেসটি ( Database) তৈরি করা হবে রাজ্যের পুলিশ ,পরিবহন দফতর, পূর্ত দফতর এবং স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে । সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অবশ্যই ওয়েবসাইট বেসড হবে। যার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তরফ থেকে প্রত্যেক রাজ্যে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছিল । সেই গাইডলাইন মেনেই কাজ করছে রাজ্য । আর এবার ডিজিটাল অ্যাক্সিডেন্ট ডেটাবেস তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকার সাহায্য নিচ্ছে মাদ্রাজ আইআইটির বিশেষজ্ঞদের।
যখন কোন পথ দুর্ঘটনা ঘটে তাতে সব সময় জানা যায় না যে আসলে দোষ কার ছিল । কার গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটলৎঅথবা দুর্ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোন কারণ ছিল কিনা। এবার থেকে তথ্য ভান্ডারে এই সমস্ত তথ্যই জোগাড় করা হবে। দুর্ঘটনা কেন ঘটল তার অনুসন্ধান করা হবে। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ওই এলাকায় যাতে বারবার একই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করা হবে। জানা গিয়েছে, এই ডেটাবেস আপডেট করার জন্য চারটি দফতর নিজেদের মতো করে তদন্ত করবে এবং তার রিপোর্ট দেবে । অর্থাৎ কোন দুর্ঘটনা হলে পরিবহন দফতর খতিয়ে দেখবে যে দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটির ব্রেক , স্পিডোমিটার সব ঠিকঠাক ছিল কিনা।
পুলিশ দেখবে, কোন গাড়ির চালকের গাফিলতি ছিল, কোন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে , সেই জায়গায় আগেও কি কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে । আর ঘটে থাকলে বারবার কেন দুর্ঘটনা ঘটছে । পূর্ত দফতরের কাজ হবে যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটবে সেখানকার রাস্তা ঠিক ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা। যদি না থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেটা সারাইয়ের ব্যবস্থা করা । আর স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে সব শেষ তথ্য যাবে যে, দুর্ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে । কতজন প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছুটি পেয়েছেন। কোন সময় তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল । কোন সময় ছাড়া হয়েছে প্রভৃতি। এমনটাই প্রাথমিক তথ্য মিলেছে সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে। এভাবে পথ দুর্ঘটনা অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম