।। প্রথম কলকাতা ।।
Swastika-Shovan: টলিপাড়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় জুটি তাঁরা। তবে সেভাবে দু’জনকে একসঙ্গে পর্দায় দেখা যায় না। একজনের অভিনয় আর আরেক জনের সুরে মাতেন অনুরাগীরা। তাঁদের প্রেম কাহিনী সকলেরই জানা। এবার মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন এই রিয়েল লাইফ জুটি। যদিও ভিডিওতে দেখা যায়নি শোভনকে (Shovan Ganguly)। কিন্তু সঙ্গীতের দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। তবে গানটি প্রায় এক বছর আগে তৈরি করেছেন শোভন। প্রথম তা শুনিয়েছেন ‘বিশেষ বন্ধু’ স্বস্তিকাকে (Swastika Dutta)। আর তাঁর ভালো লাগায় তা নিয়ে কাজ করার কথা ভাবেন। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই দু’জনে এই গানটি সকলের জন্য নিয়ে আসবেন বলে ভাবছিলেন। কিন্তু কোনও না কোনও কারণে তা হয়ে উঠছিল না।
‘টলি টাইম’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় এক বাক্যে স্বস্তিকা জানান, শোভনের সব গানই তাঁর ভালো লাগে। এমনকি তাঁর ফোনে স্টোর করা রয়েছে শোভনের সমস্ত গান। একদিন এক রাতে ‘একা বসে থাকি’ (Eka Bose Thaki) গানটিও স্বস্তিকাকে পাঠিয়েছিলেন শোভন। তবে সেইসঙ্গে পাঠিয়েছিলেন ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এর টাইটেল ট্র্যাকও। সেই গানটি শুনে অভিনেত্রীর ভালো লাগে এবং ভবিষ্যতে এই গানটি নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে সাক্ষাৎকারে মাঝে মধ্যেই শোভনকে শাসন করতে দেখা গিয়েছে স্বস্তিকাকে। এদিন অভিনেত্রী বলেন, কোনও না কোনও কারণে তাঁদের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি। এরপর ৮ থেকে ৮০ সকলের যাতে ভালো লাগে, সেই ভাবনা থেকে তৈরি হয় ভিডিও। কিন্তু ভিডিও তৈরি হওয়ার পর রিলিজ হবে কী করে, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়। গায়ক জানান, প্রথমে ভেবেছিলেন নিজের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এটি রিলিজ করবেন। তার পর আশা অডিওর সঙ্গে এটি রিলিজের সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে স্বস্তিকার আশা অডিওর সঙ্গে এটা প্রথম কাজ। দুই তারকার কথায়, এই গানটা আপনারা না শুনলে বুঝতে পারবেন না। এটার খুব বেসিক একটা স্টোরি লাইন রয়েছে। গানটা দুঃখের গান নয়, গানটা প্রেমের গান। এই গানের ভিডিওতে সাদা পোশাকে একেবারে সাদামাটা লুকে ধরা দিয়েছেন স্বস্তিকা। কলকাতার নানা জায়গায় শ্যুটিং হয়েছে এই ভিডিওর। আর শ্যুটিংটা যেখানে যেখানে হয়েছে, সেই জায়গাগুলো শোভনের পছন্দের জায়গা। গানটি লিখেছেন প্রলয়, আয়োজনে অর্ণব এবং শোভন, মিক্স অ্যান্ড মাস্টারিং-এ শমিক গুহ রায়, ভিডিওগ্রাফি এবং গল্প নির্মাণে বাউন্ডুলে টিম।
সাক্ষাৎকারে শ্যুটিংয়ের বেশ কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন স্বস্তিকা। জানান, শ্যুটিং করতে গিয়ে তাঁর জুতো পর্যন্ত ছিড়ে গিয়েছে। এসবের মাঝে স্বস্তিকা জানান, গোটা শ্যুটিংয়ে শোভন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাতে শোভনের পাল্টা জবাব, ‘আমি প্রডিউসার, আমাকে তো থাকতেই হবে’। উল্টে টাকা চেয়ে বসেন অভিনেত্রী। তাতে শোভন জানান, ‘পরে দেবেন’। কিন্তু স্বস্তিকার জবাব, ‘ঘরের লোক, আর কি টাকা নেবে!’ তবে তার বদলে গিফট পেয়েছেন অভিনেত্রী। কী, সেটা খোলাখুলিভাবে শেয়ার করেননি তাঁরা।
কিন্তু তাঁদের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই জারি রয়েছে। যেটা তাঁরা নিজেরাই স্বীকার করেছেন। কিন্তু কী কারণে হচ্ছে এই লড়াই? কারণটা খুবই পরিষ্কার। দু’জনের কাজের টাইম স্লট ক্ল্যাস করছে। শোভনের কথা, যদি স্বস্তিকার জন্য স্টুডিওর গেটের বাইরে সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, তাহলে কেন স্বস্তিকা তা পারবে না! এই নিয়েই তাঁদের মধ্যে কোল্ড ওয়ার চলছে। ঠিক যেভাবে একটা সম্পর্কের মধ্যে খুনসুঁটি হয়ে থাকে, ঠিক সেরকমই চলছে শোভন-স্বস্তিকার মধ্যেও। তবে তাঁদের প্রেম কবে বিয়েতে পরিণতি পাবে, সেটা সময় বলবে বলে জানিয়েছেন স্বস্তিকা। পুরোটাই নাকি শোভনের কাজ-কর্মের ওপর নির্ভর করছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম