।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh: ভারত (India) থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) পণ্য রপ্তানির (Export) পরিমাণ কমেছে প্রায় ২ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি। রপ্তানির ক্ষেত্রে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার কারণে এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য অর্থাৎ চাল, গম, পিঁয়াজ, ভুট্টা প্রভৃতির চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে উৎপাদন না হলে তা অন্য দেশ থেকে আমদানি (Import) করে থাকে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যায় বাংলাদেশে। কিন্তু ২০২১ এর তুলনায় ২০২২ এ খাদ্য পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ কমেছে প্রায় ২ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি। যার কারণে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের খুচরো বাজারে।
বৈশ্বিক মন্দা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভারত সরকার রপ্তানির উপর নানান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। অপরদিকে বাংলাদেশে যথাযথভাবে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি না হওয়ায় বহু জিনিসের দাম বেড়ে যায়। তবে আশা করা হচ্ছে, কোটা চুক্তি বাস্তবায়িত হলে এই সমস্যা হবে না। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে পণ্যের দাম বেশি হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। মূলত আমদানি কমেছে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে পণ্যের দাম। অপরদিকে বাংলাদেশ এখন রয়েছে ডলার সংকটে।
বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলি দিয়ে ২০২১-২২ অর্থ বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় কুড়ি লক্ষ টন আমদানি কমেছে। ২০২২ এর জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে আমদানি কমেছে প্রায় ৩০%। ভারত থেকে বাংলাদেশে শুধুমাত্র রপ্তানি কমেনি, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আমদানির পরিমাণও কমেছে। ২০২২ এ বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে প্রায় চার লক্ষ চার হাজার টন পণ্য, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার টন কম।
ভারত থেকে বাংলাদেশে যথাযথ পরিমাণে রপ্তানি না হওয়ায় দেশটি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। উপরন্তু দেশটির কাঁচামাল এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি কমায় রপ্তানিতেও ভাঁটা পড়েছে। বাংলাদেশ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য আমদানিতে ভারতের কাছে বার্ষিক কোটার সুবিধা চেয়েছিল। যাতে বছরে নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ পণ্য বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৈশ্বিক মন্দার কারণে যখন রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে, তখন কিন্তু বাংলাদেশকে আর অসুবিধায় পড়তে হবে না। কারণ কোটা সুবিধা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে পণ্য রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে ভারত ভুটান এবং মালদ্বীপের সঙ্গে এই কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে।
গত সেপ্টেম্বরে ভারতের কাছে কোটার সুবিধা চেয়েছিল বাংলাদেশ। তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) ভারত সফরে এসে বাংলাদেশ-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে এই সুবিধার কথা তোলেন। যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এই কোটা সুবিধা এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। করোনা মহামারী (Corona pandemic) আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine conflict) ফলে বাংলাদেশ এখন খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের আশঙ্কায় রয়েছে। দেশটির খাদ্য পণ্যের বৃহত্তম যোগানদাতা হল ভারত। বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতের থেকে বার্ষিক কোটা নির্ধারণ বেশ জরুরি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম