।। প্রথম কলকাতা ।।
Soaked Dates: সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে পারে একটা টানা গভীর ঘুম (Sleep)। এই কারণে রাতে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত ঘন্টা টানা ঘুমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অনেকেই এমন রয়েছেন যারা চেষ্টা করেন ঘুমোনোর কিন্তু ঘুম কিছুতেই তাদের চোখের পাতায় আসে না। অর্থাৎ রাতের পর রাত এক প্রকার জেগে কাটিয়ে দিতে হয়। যদিও বা ঘুম আসে তখন ভোরবেলা। আর কিছুক্ষণ পরেই উঠে তৈরি হতে হবে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য। কাজেই এ্য প্রভাব পড়ে তাদের শরীরে। এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে ঘুমের ওষুধের দিকে অনেকেই হাত বাড়ান । এর আবার অনেক সাইড এফেক্ট রয়েছে। তাই সহজে ঘুমের (Sleeping Pills) ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
প্রাকৃতিক এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার এই অনিদ্রার সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল খেজুর (Dates)। পুষ্টিবিদরা বলেছেন খেজুরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই খেজুর আমাদের শরীরে মেলাটোনিন (Melatonin) হরমোন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। আর এই হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিক থাকলে রাতের ঘুম ভালো হয়। অনিদ্রার ফলে যে সমস্যাগুলি দেখা যায় সেগুলির মুখোমুখি হতে হয় না। তবে খেজুরের এই একটি মাত্র গুণ (Quality) নয়, রয়েছে আরও একাধিক পুষ্টিগুণ।
জেনে নিন কেন রোজকার ডায়েটে রাখবেন খেজুরকে ?
- রক্তে যাদের হিমোগ্লোবিনের (Hemoglobin) মাত্রা অনেকটাই কম তাঁরা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। কারণ খেজুর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীদের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে খেজুর ভীষণভাবে সাহায্য করে।
- বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সাধারন সমস্যা। কিন্তু শরীরের পক্ষে খুবই কষ্টকর। বিশেষ করে শীতকালে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি এই বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন পেটের সমস্যায় যদি ভোগেন তাহলে রোজ খেজুর খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এই খেজুরে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার (Fiber), যা কোষ্ঠকাঠিন্য বদহজমের মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
- এমন বহু মানুষ রয়েছেন যারা হঠাৎ করে ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন অথবা বহুদিন ধরে ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন কিন্তু কিছুতেই সফল হচ্ছেন না। তাঁরা প্রতিদিন পরিমিত মাত্রায় খেজুর খান। আর তার সঙ্গে চালিয়ে যান নিয়মিত শরীর চর্চা। ওজন কমানোর জন্য জিমে যাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটের দিকেও নজর রাখতে হয়। তাই প্রতিদিন খেজুর খাওয়া এক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে।
- শীতকাল আসলেই তার সঙ্গে এসে উপস্থিত হয় ভাইরাল সংক্রমণ। জ্বর সর্দি কাশি হাঁচি গলা ব্যথা মাথাব্যথা এলার্জি কত রকমের সমস্যা । যারা এই ধরনের সমস্যাগুলির মুখোমুখি হন তাদের কাছে শীতকাল আতঙ্কের আরও এক নাম। কাজেই ভাইরাল সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে শীতকালে প্রতিদিন খেজুর খেতে শুরু করুন।
খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম
অল্পস্বল্প খিদে পেলেই আপনি একটা দুটো খেজুর খেয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার শরীরের কোন রকম ক্ষতি হবে না। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, খেজুরের সঠিক পুষ্টিগুণ পেতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে সেটি খেতে হবে। প্রতিদিন রাতে খেজুর জলে ভিজিয়ে রাখুন। আর সকালে উঠে সেই ভিজিয়ে রাখা খেজুর খান। এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য শুকনো খেজুরের থেকে অনেকটাই বেশি ভালো ফল দেবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম