।। প্রথম কলকাতা ।।
Consultancy Business: বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র চাকরির উপর নির্ভর করে থাকতে চান না মানুষ। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা চাকরিজীবী কিন্তু তারপরেও ছোটখাটো নিজেদের ব্যবসা তৈরি করার প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন। কারণ ব্যবসা থেকে যে পরিমাণ লাভ হাতে আসে চাকরিতে তা সম্ভব নয়। এই কারণে বর্তমানের তরুণ প্রজন্ম ক্রমশ ব্যবসার দিকে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এমন একটি ব্যবসা রয়েছে যেখানে আপনাকে কোন রকম টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না। শুধু প্রয়োজন হবে কিছুটা জ্ঞানের।
যেখানে অন্যান্য ব্যবসায়ায় টাকা বিনিয়োগ করা হয় সেখানে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে। এই ব্যবসাকে কনসালটেন্সি (Consultancy) বলা হয়। এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপরে পরামর্শ দিতে হবে। তবে অবশ্যই সেটি যথাযুক্ত, যুক্তি নির্ভর পরামর্শ হতে হবে। এইভাবে কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার ক্ষেত্রে সাহায্য করার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন। যেহেতু এখানে বিনিয়োগ করার কোন ঝামেলা নেই তাই আয়ের সুযোগ থাকছে প্রচুর।
কিছু কনসালটেন্সি ব্যবসা:
* শেয়ার মার্কেট কনসালটেন্সি (Share Market Consultancy) : বিদেশে এই ব্যবসাটি দারুনভাবে সাফল্য লাভ করেছে। ভারতে এই ব্যবসার প্রচলন রয়েছে কিন্তু সেই ভাবে এখনও পর্যন্ত শেয়ার মার্কেট নিয়ে খুব বেশি সংখ্যক মানুষের আগ্রহ দেখা যায় না। কাজেই এই শেয়ার মার্কেটের ব্যবসা যদি আপনি ভালোভাবে আয়ত্ত করে থাকেন তাহলে আপনার অভিজ্ঞতা অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিন। তাকে কিছু পরামর্শ দিন এবং বদলে নিন উপযুক্ত পারিশ্রমিক।
* সোশ্যাল মিডিয়া কনসালটেন্সি (Social Media Consultancy) : প্রযুক্তির সাথে সবকিছুই উন্নত হয়েছে। তাই মানুষের ব্যবসার ধরন বদলেছে, প্রচারের ধরন বদলেছে। এখন নিজের ব্যবসার প্রচারের জন্য প্রত্যেকটি বড় থেকে ছোট কোম্পানি ব্যবহার করে থাকে ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিনের মত সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলিকে। যারা সোশ্যাল মিডিয়া কনসালটেন্সি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সেই সমস্ত কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল করে থাকেন। অথবা তাদেরকে পরামর্শ দেন কীভাবে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের কোম্পানির প্রচার করতে পারবেন।
* ফিটনেস কনসালটেন্সি (Fitness Consultancy) : যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন মানুষের জীবনধারায় পরিবর্তন আসছে। আর এই পরিবর্তনের কারণে নানা ধরনের অসুস্থতা তাদেরকে ঘিরে ধরছে। তাই এখন মানুষ সুস্থ থাকতে চান। তাঁরা অনেক বেশি সচেতন। সেই সমস্ত মানুষদের প্রয়োজন হয় পরামর্শের। শরীরচর্চা এবং যোগব্যায়ামের উপর আপনার যদি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনিও ফিটনেস কনসালটেন্সির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
* টেকনোলজি কনসালটেন্সি (Technology Consultancy) : প্রযুক্তি নির্ভর কাজে যদি আপনি পটু হয়ে থাকেন তাহলে তথ্যপ্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল সংস্থা গুলিকে পরামর্শ দিতে পারবেন । আধুনিক বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে এই তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। তাই সঠিক পরামর্শদাতার প্রয়োজনীয়তাও ততটাই বেশি। এক্ষেত্রে আপনাকে তথ্য বা সফটওয়্যার সিস্টেমগুলি উন্নত করার জন্য পরামর্শ, সমস্যার সমাধান প্রভৃতি করে দিতে হবে।
* বিজ্ঞাপন কনসালটেন্সি (Advertising Consultancy) : কোন একজন ব্যক্তি তাঁর নিজের কোম্পানির ব্র্যান্ডিং করতে চাইছেন। কিন্তু কীভাবে সেই কাজটি করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। নিজের ব্যবসা বা কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য তার প্রয়োজন একটি বিজ্ঞাপন কনসালটেন্সির। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন কনসালটেন্সির কাজ হবে ওই কোম্পানি এবং তার পণ্যের প্রচার করা সৃজনশীলতার মাধ্যমে।
* কেরিয়ার কনসালটেন্সি (Carrier Consultancy) : এমন অনেক মানুষই রয়েছেন যারা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কোথায় গেলে কাজ পাওয়া যাবে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য গড়ে ওঠে কর্মসংস্থান কনসালটেন্সি গুলি । এখানে ওই ব্যক্তির যোগ্যতা অনুসারে তাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ অফার করা হয়। বদলে অবশ্যই নেওয়া হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা।
এই কনসালটেন্সির ব্যবসা শুরু করার জন্য বিশেষ কিছুই লাগে না । মূল পুঁজি হতে হবে আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা এবং জ্ঞান । গৃহকেন্দ্রিক এই ব্যবসা থেকে মাসের শেষে রোজগার করা যেতে পারে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা। কিন্তু কনসালটেন্সি ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকেও সময়ের সাথে সাথে আপডেট করতে হয়। পরিবর্তনের সাথে ব্যবসার ধরন বদলে ফেলতে হয়। তবেই গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম