।। প্রথম কলকাতা ।।
Home Made Sheet Mask : ত্বকের সঠিক মত পরিচর্যা করার জন্য বিশেষ কয়েকটি উপায় রয়েছে। সবসময় ত্বকে সুস্থ রাখতে বা ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ধরে রাখার জন্য বাজার চলতি প্রোডাক্টের পেছনে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করার কোনো রকম প্রয়োজন নেই। কারণ বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায় একাধিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট। যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় শিট মাস্ক (Sheet Mask)। ত্বককে হাইড্রেটেড (Hydrated) রাখতে এবং কোমল রাখতে দারুন ভাবে কাজে লাগে শিট মাস্ক।
শীতকালে এমনিতেই আমাদের ত্বক খানিকটা রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়। সেই রুক্ষ প্রাণহীন ত্বককে ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য বহু ঝক্কি পোহাতে হয়। বিভিন্ন ধরনের স্কিনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে। তাই বাড়িতেই একেবারে কম খরচে বানিয়ে নিন শিট মাস্ক। মোটামুটি ড্রাই, অয়েলি, কম্বাইন্ড সবরকম স্কিনের জন্যই এই উপকরণ দিয়ে তৈরি শিট মাস্ক কাজে আসে । কিন্তু বাড়িতে তৈরি করা (Home Made Sheet Mask) সিট মাস্ক প্রিজার্ভ করার কথা ভাববেন না। একেবারে সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
বাড়িতে কীভাবে তৈরি করবেন বিভিন্ন ধরনের শিট মাস্ক ?
- শসার শিট মাস্ক : কচি শসা এমনিতেও স্কিন কেয়ারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তবে শিট মাস্ক তৈরি করার জন্য প্রথমে শসাটিকে একেবারে গ্রেট করে তার জুস বের করে নিতে হবে। তারপর সেই জুসের মধ্যে একটি কটন ফেসিয়াল মাস্ক সিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট মতো সেটিকে ফ্রিজে মধ্যে রেখে ঠান্ডা করুন। আর তারপর বের করে মুখে লাগিয়ে নিন। মিনিট কুড়ি মত রাখুন মুখে। পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলার পরে অবশ্যই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে আপনার ত্বক একদিকে যেমন হাইড্রেটেড থাকবে তেমনই ত্বকে যদি কোন চুলকানি-জ্বালার সমস্যা হয় তাহলে তা কমে যাবে।
- গোলাপ জল ও গ্লিসারিন শিট মাস্ক : এই শিট মাস্ক তৈরি করার জন্য এক টেবিল চামচ গোলাপজল নিন। আর তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ গ্লিসারিন মেশান । এরপর ওই মিশ্রণের মধ্যে একটি কটন সিট মাস্ক ভিজিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রাখার পর মুখে লাগান। এই মাস্কটিও কুড়ি মিনিট রাখলেই যথেষ্ট। মুখ ধুয়ে ফেলার পর ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার। এতে আপনার ত্বক অনেক বেশি কোমল হয়ে যাবে এবং সুস্থ থাকবে।
- গ্রিন টি শিট মাস্ক : শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্য অনেকেই গ্রিন টির আশ্রয় নিয়ে থাকেন । এবার গ্রিন টি ব্যবহার করা যাবে স্কিন কেয়ারের ক্ষেত্রেও। গরম জলে গ্রিন টি ব্যাগ মিনিট কুড়ি মত ডুবিয়ে রেখে সেই জলের মধ্যে মেশাতে হবে লেবুর রস । আর তারপর একটি কটন ফেসিয়াল মাস্ক ওই জলে ভিজিয়ে আধঘন্টা মতো রেখে দিতে হবে ফ্রিজ থেকে বের করে মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখলেই যথেষ্ট। গ্রিন টিতে যেহেতু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলের পরিমাণ অনেকটা বেশি তাই ব্রণর মত সমস্যাও এতে কমে যায়। ত্বক ডিটক্সিফাই হয় ।
- তরমুজের শিট মাস্ক : এটি ভালোভাবে তৈরি করা যায় গরমকালে। কারণ তখন বাজারে খুব সহজেই মেলে তরমুজ। চার টেবিল চামচ তরমুজের রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে রাখতে হবে। এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ফ্রিজে রাখার পর সেটি বের করে একটি কটন শিট মাস্ক মিনিট পাঁচেক মত ভিজিয়ে রাখতে হবে। আর তারপর মাস্কটি থেকে অতিরিক্ত জল বের করে নিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে ফেললেই সমস্যার সমাধান । এই মাস্ক সান বার্ন থেকে ত্বককে ভীষণভাবে রক্ষা করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম