।। প্রথম কলকাতা ।।
Bollywood: অহঙ্কারী করিনাকে একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না প্রীতি জিন্টা। প্রকাশ্যেই বেবোকে দাগলেন বড়সড় তোপ। সইফ পত্নীকে নিলেন একহাত। প্রীতি জিন্টা করলেন করিনার পর্দা ফাঁস।। রাণী মুখার্জী কার সমর্থনে? প্রীতি নাকি করিনা? কার হয়ে গলা ফাটালেন রাণী? বলিপাড়ায় তুমুল শোরগোল। কেনই বা করিনার উপর এতটা ভড়কে গেলেন প্রীতি জিন্টা? ঠিক কী বলেছেন বলিউডের ডিম্পল কুইন? জানাব সবটাই।
দেখুন এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বলিউডের একটা বড় নাম হচ্ছে করিনা কাপুর খান। কাপুর খানদানের মেয়ে এখন খান বংশের পুত্রবধূ। তাই নায়িকার অ্যাটিটিউডটাও বেশ চড়া। অহঙ্কারী বলে বেশ দুর্নামও রয়েছে তার। তবে প্রীতিও কি কিছু কম যান নাকি? ঠারেঠোরে বুঝিয়েই দেন যে তিনি কারোর পরোয়া করেননা। কফি উইথ করণের সেটেই তো একহাত নিয়েছিলেন করিনা কাপুরকে। তার ঝাঁঝালো মন্তব্যের পাল্টা দেওয়ারও সাহস পাননি বেবো। জানেন, ঠিক কী বলেছিলেন ডিম্পল সুন্দরী? যার ভয়ে বেবো অবধি চুপ হয়ে গেছিলেন।
অনেকেই হয়ত জানেন যে, করণের ‘কাল হো না হো’ ছবির পর থেকেই তাদের তিক্ততা চরমে পৌঁছেছিল। এখন হয়ত ভাবছেন যে, প্রীতি-করিনার মাঝে কাল হো না হো’-র কী সম্পর্ক? আছে আছে, সম্পর্ক তো আছেই।
শুনলে হয়ত খানিকটা অবাক হবেন যে, ‘কাল হো না হো’ ছবির নয়না চরিত্রের জন্য করণ চেয়েছিলেন করিনাকে। তবে করিনার ডিমান্ড তখন বড্ড হাই। এতটাই যে, প্রাণের বন্ধু করণের সাথেও শুরু করেছিলেন দর কষাকষি। সোজা শাহরুখের সমান পারিশ্রমিক চেয়ে বসেছিলেন। করণের তো তখন মাথায় হাত।
ছবির বাজেট যে অতটা নেই। অগ্যতা আর কী করা! করিনাকে ভুলে বিকল্প হিসেবে তিনি বেছে নেন প্রীতিকে। আর তখন থেকেই শুরু হয় তিক্ততা। প্রীতি ‘হাই’ বললেও নাকি তার উত্তর দিতেন না করিনা।
বলিপাড়ার কানাঘুষা, ছবিটা যে এত পপুলার হয়ে উঠবে, করিনা সেটা ভাবতেও পারেননি। নিন্দুকরা তো এটাও বলে, এরকম একটা মাস্টারপিস হাতছাড়া হওয়ার হতাশাতেই নাকি প্রীতির সাথে কথা বন্ধ করেছিলেন তিনি। শোনা যায় এরপর দেড়মাস নাকি করনের সাথেও কথাবার্তা বলতেন না বেবো। আর করিনার এই অ্যাটিটিউডটাই পছন্দ হয়নি প্রীতির। আচ্ছা আপনাদের কী মনে হয়? কে ঠিক এখানে? প্রীতি নাকি করিনা? আপনি কার সমর্থনে?
ওদিকে প্রীতিরও আবার খুব একটা মন জুগিয়ে চলার অভ্যাস নেই। একবার তো রাখঢাক না রেখে করিনাকে নিয়ে বলেই দিয়েছিলেন, ‘আমার ওকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ও যে ভাবে আমাকে উপেক্ষা করে, সেটা নিয়ে সমস্যা আছে আমার।’
তবে অবাক করা বিষয় হল প্রীতির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেওয়ার সাহস করেননি করিনা। তবে নায়িকাকে একহাত নিয়েছিলেন রাণী মুখার্জী। সরাসরি করিনার সাইড না নিলেও প্রীতিকে খানকে ভর্ৎসনাই করেছিলেন তিনি। বেশ বকা দেওয়ার সুরেই বলে উঠেছিলেন, “আমার মনে হয় প্রীতি বড় বেশি কথা বলে। ওর একটু কম কথা বলা উচিত। সব বিষয়ে ও মতামত দিতে চায়। এই অভ্যাস বদলানো জরুরি। তা ছাড়া প্রীতি সত্যিই দারুন।’
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম