।। প্রথম কলকাতা ।।
Narendra Modi: টানা দুদিন ধ্যানে মগ্ন মোদি জি। কন্যাকুমারী অপরুপ রূপে সেজে উঠেছে। আজ সন্ধ্যে পর্যন্ত গভীর ধ্যানে থাকবেন মোদি। ভারতের শেষ স্থলভাগে সূর্যাস্তের সাক্ষী মোদি জি। ক্লান্ত তিনি পরমাত্মার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে এমন উদ্যোগ তাঁর তাই বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিবেকানন্দ শিলা কী দেবে মোদিজিকে? কেন এই বিবেকানন্দ শীলাকেই ধ্যানের জন্য বেছে নেওয়া হল? এতো সভার পর একেবারে টানা দুদিন মৌন তিনি।
২০১৪ সালে ছিল প্রতাপগড়, ২০১৯ সালে কেদারনাথ। আর ২০২৪ এ এবার ধ্যানের জন্য মোদিজি বেছে নিয়েছেন বিবেকানন্দ শীলাকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষে ধ্যানের ট্র্যাডিশন ধারাবাহিক বজায় রেখেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। গত ৩০ মে সন্ধ্যা থেকে একেবারে আগামিকাল অর্থাৎ ১ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত_মোট দু’দিন, বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে করে চলবেন নরেন্দ্র মোদি। নমোর এই ৪৫ ঘন্টার মৌনব্রত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ২০০০ পুলিশ নিরাপত্তা সংস্থা মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। নেওয়া হয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। একেবারে অন্যরূপে সেজে উঠেছে কন্যাকুমারী।
কিন্তু প্রশ্ন হল, এত জায়গা থাকতে কেন কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ শীলাকেই বেছে নিলেন মোদীজি? এই শীলার সাথে জুড়ে রয়েছেন স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ। এই জায়গা যে স্বামী বিবেকানন্দরই। জানেন কীভাবে?
সালটা তখন ১৮৯২, ২৪ ডিসেম্বর। এক কনকনে শীতের দিনে গোটা দেশ ভ্রমণ করে পরিব্রাজক রূপে স্বামী বিবেকানন্দ এসে পৌঁছান দেশের একদম দক্ষিণ বিন্দু কন্যাকুমারীতে। তিন সাগরের সঙ্গমস্থল এটি। এখানকার শেষ স্থলভাগ পয়েন্টে এসে একটা পাথরের উপর বসে টানা তিনদিন ধরে ধ্যান করেছিলেন স্বামীজি। সেখানে বসেই তিনি দেখেছিলেন ভারতের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, তাঁর দেশকে তিনি আগামী দিনে কেমনভাবে দেখতে চান? পরবর্তী সময়ে স্বামীজির স্মৃতি স্বরূপ এই পাথরটিকেই বিবেকানন্দ শীলা বলে চিহ্নিত করা হয়।
এবার সেখানেই, ধ্যানমণ্ডপমে ধ্যানে বসেছেন মোদিজিও। তিনি কন্যাকুমারী সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করার পর তারপর ধ্যানে বসেছেন। এ এক অপরূপ পাওয়া, এক অপরূপ দৃশ্য। বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরেরে সঙ্গমস্থল এই কন্যা কুমারী। এখানেই দেবী কুমারীর মন্দির অবস্থিত । এটি ভৌগোলিক ভাবে ভারতের শেষ স্থলভাগ পয়েন্টে, এক অপার্থিব সৌন্দর্য এখানে। যে সৌন্দর্যে হারিয়ে গেছিলেন খোদ বিবেকানন্দও। আর এবার সেই অপার্থিব সৌন্দর্যের সাক্ষী রইলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীও।
কিন্তু কেন ? কেন এই স্থানকেই বেছে নিলেন নমো?
আসলে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সারা দেশজুড়ে সভা ও র্য্যালি মিলিয়ে মোট ২০৬টি জনসংযোগ করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন মানুষের সাথে মেলামেশা করেছেন তিনি। শুনেছেন প্রান্তিক মানুষের কথাও। ঠিক স্বামী বিবেকানন্দের মতই দেশ ঘুরে দেশকে বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি। আর তাই কি এবার বিবেকানন্দ শীলার ওপর বসে তাঁর মত করেই দেশকে উপলব্ধী করার চেষ্টায় করছেন? কী মনে হয় আপনার? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই নাকি আসল কারণ।
এর আগেও বেশ কয়েকবার মোদীকে বলতে শোনা গেছে, তাকে দিয়ে কোনও বিশেষ কাজ করতে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন পরমাত্মা। এবার হয়ত সেই বিষয়টা বোঝার জন্যই বিবেকানন্দ শীলাকেই বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতিও সারা। যে পাথরটির উপর বসে নরেন্দ্র মোদী ধ্যান করছেন, তার চারপাশ কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন ১০ জন SPG কমান্ডো। বিবেকানন্দ রক সেন্টারের চতুর্দিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে তাদের উপর। ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রী। গোটা দেশ দেখছেন মোদীজিকে। শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে যাচ্ছে তাঁর কাছে। আপনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাতে পারেন মোদিজিকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম