।। প্রথম কলকাতা ।।
Silchar-Sylhet Festival: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে শুক্রবার অসমের শিলচরে পৌঁছেছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। তারপর গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার শিলচরে ‘ভারত-বাংলা সিলেট উৎসব’-এর উদ্বোধন করেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর্যটন, সংস্কৃতি ও উন্নয়নমন্ত্রী গঙ্গাপুরম কিষাণ রেড্ডি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করেছে। ‘ভোরের কাগজ’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে শিলচরের পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে উৎসবের শুভ সূচনা হয়। সিলেট ও দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই উৎসবের মাধ্যমে ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক মতবিনিময় করার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছে অসম সরকার।
‘দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, উৎসবে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাওনওয়াজ ও মহিবুর রহমান মানিক, প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব শমসের মুবিন চৌধুরী, সিলেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। যোগ দিচ্ছেন মিজোরামের গভর্নর কম্ভমপতি হরি বাবু সহ রাজ্যের মন্ত্রীরাও।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন ভারতের সুতারকান্দি সীমান্তে পৌঁছানোর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ বছর পর শেওলা-সুতারকান্দি হয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করতে পেরে আমি সৌভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে এবং তাঁরা আমাদের যে সৌহার্দ্যপূর্ণ স্বাগত জানিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট’। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোমেন বলেছেন, ‘তাঁরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করেছেন আমাদের সঙ্গে। আমরা সকলেই বাড়ির মতো অনুভূতি পেয়েছি। এটি একটি ঐতিহাসিক ইভেন্ট হতে চলেছে। কারণ অনেক আশা ও আকাঙ্ক্ষার মাঝে একত্রিত হতে চলেছে দুই প্রতিবেশী’।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘শিলচর-সিলেট উৎসব’ আমাদের অভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা, শিল্প ও সাহিত্য, পারস্পরিক উন্নয়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। উৎসবের উদ্বোধনে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন মোমেন। তাঁর কথায়, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিরো ট্রলারেন্স নীতি কার্যকরভাবে প্রয়োগের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল সার্বিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শেষ হলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। মূলত উৎসবে আলোচনায় উঠে আসবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন, নদী, জলবায়ু সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি। উৎসবটি শুরু হয়েছে গতকাল, শেষ হবে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম