।। প্রথম কলকাতা ।।
Brain Stroke In Winter: শীতকাল আসলেই একদিক থেকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা যেমন আমাদের ঘিরে ধরে তেমনই একাধিক রোগের উঁকি ঝুঁকি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই বলছেন, ঠান্ডার প্রভাবে আমাদের দেহের রক্তবাহী যে নালিকাগুলি রয়েছে সেগুলি ক্রমশ সংকুচিত হয়ে যায়। যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু রক্তচাপ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে তা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো বিপদের মুখে আমাদের ঠেলে দিতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তো রয়েছেই এছাড়াও রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা, বয়স এবং স। ট্রেসের বিষয়টিও হার্ট অ্যাটাক-স্ট্রোকের মত সমস্যা ডেকে আনতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জীবন ধারণের পদ্ধতিও এই ধরনের সমস্যার জন্য দায়ী হয়ে থাকে।
শীতকালে ব্রেন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় :
* এড়িয়ে চলুন ঠান্ডা জলে স্নান : এমন অনেকেই রয়েছেন যারা শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ঠান্ডা জলকেই ভরসা করেন। অবশ্যই ঠান্ডা জলের কিছু স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। ঠান্ডা জলে স্নান করলে স্ট্রেস এবং ক্লান্তি দূর হয়। গরমকালে ঠান্ডা জলে স্নান আমাদের ভীষণভাবে রিলাক্স করে। তবে অন্ততপক্ষে শীতকালে গরম জলে স্নান করা প্রয়োজন। খুব বেশি গরম জলে স্নান না করতে পারলে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করুন।
* শারীরিক সক্রিয়তা বজায় রাখুন: শুধুমাত্র শীতকাল নয় সারা বছর নিজের শরীরকে সচল রাখা ভীষণ প্রয়োজন। প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যায়াম কিংবা যোগাভ্যাস আপনাকে ভীষণভাবে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে সাহায্য করবে। সারাদিনে একেবারে সকালে বা সন্ধ্যার দিকে আধঘন্টা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। এছাড়াও করতে পারেন জগিং। যেভাবেই হোক না কেন শরীরকে সক্রিয় রাখা ভীষণ জরুরি।
* শরীরকে উষ্ণ রাখুন : শীতকালে মোটা পোশাক ছাড়া ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়। অনেকের মধ্যেই শীতকালে ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আপনার সাথেও যদি এমন হয়ে থাকে তবে বাড়ির বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই কান-মাথা ঢেকে নিন। একই সঙ্গে পড়ুন মোটা সোয়েটার-জ্যাকেট।
* অ্যালকোহল এড়িয়ে যান : মদ্যপানের অভ্যাস যে কোন মানুষকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেয়। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। যা পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
* ধূমপান নয় : আমাদের শরীরের রক্তবাহী নালিকাগুলি যখন সংকুচিত হয়ে যায় তখনই রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটে। তামাক সেবন কিংবা ধূমপানের অভ্যাস এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। ক্রমাগত ধূমপান করতে থাকলে একসময় এটি বড় আকার ধারণ করে। যা কোন মানুষের প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে।
* অতিরিক্ত পরিশ্রম নয় : অবশ্যই শরীরকে সক্রিয় রাখা প্রয়োজন। পরিশ্রম করা প্রয়োজন কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত নয়। শরীর যতটা পরিশ্রম সহ্য করতে পারবে ততটাই করা উচিত। অতিরিক্ত এক্সারসাইজ অনেক সময় হার্ট রোগীর জন্য ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম