।। প্রথম কলকাতা ।।
Kalat Kali Temple: পাকিস্তানের বুকেও রয়েছে জাগ্রত কালাটেশ্বরী কালী মাতা। পাকিস্তানের দারুন বিখ্যাত এই হিন্দু মন্দির! কট্টর মৌলবাদী পাক ভূমিতে এই দেবীর পূজা হয় মহাসমারোহে। ভারতের মত এই মন্দিরেও ভক্তরা ভিড় জমায়। ভাবতেও অবাক লাগছে? ভাবছেন এ কোন গালগল্প নিয়ে এলাম আমরা? অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।জানেন কোথায় রয়েছে সেই মন্দির? কোন কারণে আজও মন্দিরটিকে টিকিয়ে রেখেছে পাক সরকার?
আসলে মৌলবাদের ঘুণধরা পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া অনেকটা মঙ্গলে জল পাওয়ার মত। নানা কারণেই সে দেশ থেকে উধাও হয়েছে একটার পর একটা মন্দির। তবে সেই ইতিহাসে আজ আমরা যাবনা। বরং আজ আমরা জানাব পাক ভূমিতে টিকে থাকা এক কালী মন্দিরের কথা। যে মন্দিরে আজও প্রার্থনা করে মানুষ। আর এটাই অবাক করে বাকি দুনিয়াকে। জানেন কোথায় রয়েছে এই কালাটেশ্বরী কালীর মন্দির?
ইতিহাস বলছে যখন এই মন্দিরের জন্ম হয় তখন পাকিস্তান বলে কোনোকিছুই ছিলনা। তবে পাকিস্তান তৈরি হওয়ার পরেও কেউ এই মন্দিরে হাত দেওয়ার সাহস দেখায়নি। বারংবার কোনও এক অজ্ঞাত ভয়ে পিছিয়ে এসেছে হানাদারেরা। শোনা যায় এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত দেবীর ক্ষোধ এতটাই ভয়ঙ্কর যে সেখানকার হিন্দুরা তো বটেই পাশাপাশি মুসলিমরাও সমীহ করে চলে তাঁকে। হ্যাঁ, এতটাই এই কালাটেশ্বরী কালী মায়ের দাপট।
রিপোর্ট বলছে, জাগ্রত এই মন্দিরটি রয়েছে বালুচিস্তানে। সেখানে কেউ মাকে ডাকেন কালাট কালী মাতা। আবার কেউ বা ডাকেন মা কালাটেশ্বরী বলে। শোনা যায়, এই মন্দিরটি নাকি কয়েক হাজার বছর আগেকার। মন্দিরের দ্বারে উর্দু ভাষায় লেখা তথ্য থেকেই জানা যায়, মন্দিরটি নাকি তৈরি হয়েছিল ৭৪ খ্রিস্টাব্দে। সেই থেকে আজও সদর্পে দাঁড়িয়ে রয়েছে কালাটেশ্বরী কালী মায়ের মন্দির।
প্রতিবছরই গোটা পাকিস্তান ভেঙে লোক আসে এই মন্দিরে। প্রায় ২০ ফুট উঁচু এই বিগ্রহের দশটি হাতে রয়েছে গদা, তরবারি, ঢাল, শঙ্খ, খড়্গ, ত্রিশুল, চক্র, ধনুক, নরমুন্ড, খঞ্জর। কালচে নীল রাঙা মায়ের গলায় রয়েছে সত্যিকারের করোটির মালা। নিত্যপুজোর পাশাপাশি কালীপূজা, দশহরা, হোলি, গুরুপূর্ণিমা জাঁকজমক সহকারে হয়ে থাকে এই কালাটেশ্বরী কালী মন্দিরে।
শোনা যায়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিখ ধর্মগুরুরাও এই মায়ের দরবারে এসেছেন। সেই স্মারক হিসেবে দেবী মায়ের সামনে রাখা থাকে গুরু নানকের ছবিওও। যে কারণে বালুচিস্তানের শিখদের কাছেও অত্যন্ত পবিত্র এই মন্দির।
তবে মন্দির ভাঙার চেষ্টা যে একেবারেই হয়নি তাও নয়। কথিত আছে, যখনই কেউ এই মন্দির ভাঙার চেষ্টা করেছে তখনই তাদের অপঘাতে মৃত্যু হয়েছে। দেশটির বাকি মন্দিরগুলি সময়ের সাথে সাথে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও মা কালাটেশ্বরীকে স্থানচ্যুত করা সম্ভব হয়নি। ভক্তরা বলেন, ভবিষ্যতেও মাকে কেউ তাঁর জায়গা থেকে সরাতে পারবেনা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম