।। প্রথম কলকাতা ।।
Sweets of Bangladesh: বিদেশের মাটিতে রাজকীয় ল্যান্ডিং, এত্তো ফেমাস বাংলাদেশের মিষ্টি? সরিষাবাড়ী, তেঁতুলতলা তো সুপারহিট। জলযানেও ভেসে বেড়াচ্ছে ওপার বাংলার চমচম, রসমালাই, মিষ্টি দই। রফতানিতেই লুকিয়ে নতুন সম্ভাবনা? কিভাবে ভালবাসা বিলাচ্ছে পদ্মাপাড়ের দেশটা।এক একটা রত্ন। যা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বাংলাদেশের মাটিতে। টাঙ্গাইলের চমচম, নওগাঁর প্যারা, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, মুক্তাগাছার মন্ডা, নেত্রকোণার বালিশ মিষ্টি, কুমিল্লার রসমালাই, সাতক্ষীরার সন্দেশ, যশোরের জামতলার রসগোল্লা। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি? এক সে বড়কর এক।
বাংলাদেশের শহর-গ্রামাঞ্চলের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে বিভিন্ন মিষ্টির ব্র্যান্ড। সময়ের সঙ্গে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও নেমেছে এই ব্যবসায়। আশার কথা হলো, অন্যান্য জীনিসের সঙ্গে মিষ্টি রপ্তানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক বাজার বিবেচনা করে মিষ্টি বা মিষ্টান্ন রপ্তানির দিকে নির্দিষ্ট ভাবে নজর দিলে ওপার বাংলার বুকে নতুন সম্ভবনা সৃষ্টি হবে।অলরেডি, বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি রপ্তানি শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলের মিষ্টিকে ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে গত এক দশক ধরে। যেই সময়টাতে মিষ্টির স্বাদে ভিন্নতা আনা, বিভিন্ন রকমের মিষ্টি তৈরি সহ এর উন্নয়নের কাজ চলছে। এরমধ্যে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও যুক্ত হচ্ছে, ইনভেস্ট করছে। পরবর্তী পদক্ষেপে রপ্তানির দিকে নজর দেবে উদ্যোক্তারা।
জানিয়ে রাখি, বৈশ্বিকভাবে মিষ্টান্ন খাতের পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় চকলেট, বিস্কুট, আইসক্রিম ও মিষ্টিকে
অলরেডি, চলতি বছরের আগস্টে তিন ধরনের মিষ্টি আর দই মিলে ১,৯৩২ কেজি পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের রিভারেইন ফিস অ্যান্ড ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে চট্টগ্রাম ভিত্তিক একটা প্রতিষ্ঠান। এই মিষ্টির মধ্যে ছিল কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী রসমালাই ৪১৬ কেজি, চমচম ৩২৬ কেজি, কালোজাম ৩৯০ কেজি। তার আগে মে মাসে বিডি ফুডসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সবজিয়ানা ১,১০০ কেজি মিষ্টি পাঠিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। এরমধ্যে ছিল স্পঞ্জ রস গোল্লা, রস গোল্লা, চমচম, ক্ষীর মোহন, ল্যাংচা, মিষ্টি দই। বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুগার কনফেকশানারি খাতে রপ্তানি আয় ২৩৬.৮১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও এখানে রসমালাই বা মিষ্টান্ন পণ্যের ক্যাটাগরিতে আসে এরকম কিছুর অবদান নেই বললেই চলে।
তবু এভাবেই অন্যান্য কৃষি পণ্যের সঙ্গে মিষ্টিও রপ্তানি হচ্ছে সমুদ্র পথে। আবার কখনও ফ্রোজেন এবং ব্রেড-বিস্কিটের সঙ্গেও মিষ্টি রপ্তানি করা হচ্ছে। আর এইসব দেখেশুনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে রপ্তানিখাত বড় হতে পারে, সম্ভাবনা আছে কিন্তু রফতানি যতটুকু হচ্ছে সেটাই বা করছে কারা? বাংলাদেশ মিষ্টি প্রস্তুতকারক সমিতির প্রায় ৪০০ রেজিস্টার্ড মেম্বার রয়েছে। তার বাইরে সারা বাংলাদেশ জুড়ে দুহাজারেরও বেশি স্থানীয় উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে। এসব প্রতিষ্ঠান কিন্তু রপ্তানি করছে না। রপ্তানি স্বল্প পরিমাণে যা হচ্ছে, তাও করছে ক্রেতারা, উৎপাদকরা নয়। উল্টে বিদেশে যেসব বাংলাদেশীরা থাকেন তাদের চাহিদার ভিত্তিতে সেখানেই আউটলেট খুলছে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
যেমন চট্টগ্রামভিত্তিক বনফুল দুবাই ও লন্ডলে আউটলেট খুলেছে তবে, এটা মানতে হবে দুগ্ধজাত পণ্য বিদেশে পাঠানো বিভিন্ন কারণে বেশ চ্যালেঞ্জিং। তারপরেও, প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটলে আগামী। তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মিষ্টি রপ্তানির সম্ভবনা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু এটা জানেন কি সেই কাজই তলে তলে এগোচ্ছে কিনা বাংলাদেশ?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম