।। প্রথম কলকাতা ।।
পুজোর মধ্যে জ্বর ঠান্ডা বাঁধিয়েছেন? কিভাবে তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন সেই নিয়ে চিন্তা করছেন নিশ্চয়। দিনের বেলা কিছুটা গরম আর রাতের দিকে ঠান্ডা ‘এমন ওয়েদারে তো ঠান্ডা লাগবেই। আর পুজোর মধ্যে জ্বর ঠান্ডা মানে সব মাটি। কিন্তু আর মাটি হবে না। এমন কিছু ঘরোয়া টোটকার কথা আপনাদের জানাবো, যেগুলি কাজে লাগালে নিমেষে আপনার ঠান্ডা জ্বর সব ঠিক হয়ে যাবে। আপনি একদম সুস্থ হয়ে উঠবেন। আর আনন্দ করে আবার ঠাকুর দেখতে বেরোতে পারবেন।
সারাদিন একটু উষ্ণ পানীয় জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। যেমন স্যুপ, গরম জল, হলুদ মিশ্রিত দুধ, চা, মধু খেতে পারেন। লেবু ও আদা মিশ্রিত চা পান করুন।
উপযুক্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিলে আপনি তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন। ঘুমের সময় ঠিক করুন এবং চিন্তামুক্ত থাকুন। দিনে যেকোনো একটা টাইম একটু ঘুমানোর জন্য বেছে নিন। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।দেখবেন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন।
ঠান্ডা লাগলে বা গলায় সমস্যা থাকলে মধু খেতে পারেন। এক চামচ মধু খেলে ঘুমও ভাল হবে। রাতে এক চামচ মধুর সঙ্গে অল্প আদার রস মিশিয়ে খেলে কাশি কমবে, গলার সমস্যাও কাটবে। এর মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান আছে।
এছাড়া নাক বন্ধ হয়ে গেলে গরম জলে ভেপার নিতে পারেন। ভাল ফল পাওয়ার জন্য দিনে দুবার ভেপার নিতে পারেন। নাক বন্ধ দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও কয়েকটি জিনিস আপনি বানিয়ে খেতে পারেন, তৎক্ষণাৎ ফল পাবেন। যেমন, ৫ থেকে ৬ কোয়া রসুন থেঁতো করে নিন। তারপর সেটা শুধু খেতে পারেন কিংবা স্যুপের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। রসুনের গুণাগুণ অনেক। ভাইরাল ফিভার, ঠান্ডা লাগার মতো অসুখের প্রতিরোধ করতে রসুন খুব উপকারী। শুধু ঠান্ডা লাগাই নয়, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রন, কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোক প্রতিরোধেও রসুন খুব কাজে দেয়।
রসুনের মতোই আদাও খুবই উপকারী একটি ঘরোয়া উপাদান। অনেকরকমের রোগ প্রতিরোধ করতে আদা খুব উপকারী। জ্বর কমাতে এক কাপ আদা সেদ্ধর রসে মধু মিশিয়ে খান। তত্ক্ষণাত্ ফল পাবেন।
ছেলেবেলা থেকেই জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, ম্যালেরিয়া এবং আরও অনেক রোগের উপশমকারী উপাদান হিসেবে তুলসী পাতার রসের কথা আমরা জেনে এসেছি। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং আরও অনেক উপাদান রয়েছে। ৮ থেকে ১০টি তুলসী পাতা ভালো করে জলে ধুয়ে নিন। তারপর গরম জলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পাতাগুলি ফোটান। সেই ফোটানো জল সকাল বেলায় খান। তারপর দিন শুরু করুণ।
তবে মাথায় রাখবেন প্রতিবেদনের সমস্ত টিপস শুধুমাত্র পরামর্শ স্বরূপ। চিকিৎসার বিকল্প কিছু হতে পারে না। প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম