।। প্রথম কলকাতা ।।
আধুনিক ক্রিকেটে বিরাট কোহলির অবদান আর নতুন করে কিছু বলার নেই। আশা করা হয়েছিল ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু তেমন লড়াই তো দুর, সম্ভাবনাটুকুও দেখতে পাওয়া গেল না। ভারতীয় বোলার এবং ব্যাটারদের সামনে টাইগার গর্জন একেবারে মিইয়ে গেল। বাংলাদেশকে কার্যত দুরমুশ করে জয়লাভ করল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেইসঙ্গে উপরি পাওনা বিরাট কোহলির শতরান।সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেটে তিনি ৪৮তম শতরানটি করে ফেলেছেন।
একই ইনিংসে রেকর্ডের ফুলঝুরি গড়ে ফেললেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। বিরাট কোহলি আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে সর্বকালের সেরাদের মধ্যে ধরা হয়। পরিসংখ্যানে কিং কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং মায়েস্ট্রো শচীন টেন্ডুলকরের থেকে এক ধাপই দুরে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, শচীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৯টি শতরান করেছেন। চলতি বিশ্বকাপেই তিনি শচীনকে স্পর্শ করতে পারেন কি না, সেটাই আপাতত দেখার।
পাশাপাশি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকারকে ছাপিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। ছুঁয়ে ফেললেন আরও একটি মাইলফলক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ২৬ হাজার রান করার নজির গড়লেন তিনি। ৫১১ ম্যাচ ও ৫৬৬ ইনিংস খেলে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন বিরাট কোহলি। শচীন ৬০০ ইনিংসে এই ২৬,০০০ রান পূরণ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৬ হাজার রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এলেন বিরাট কোহলি। বাংলাদেশ ম্যাচের পর বিরাটের রান দাঁড়াল ২৬,০২৬। টপকে গেলেন শ্রীলঙ্কার আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক মাহেলা জয়বর্ধনেকে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকাতেও চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন বিরাট কোহলি। বর্তমানে তাঁর রান ১,২৮৯। তালিকায় ২২৭৮ রান করে শীর্ষে শচীন টেন্ডুলকার। ১,৭৪৩ রান করে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং। ১,৫৩১ রান করে তৃতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁর মোট রান সংখ্যা ১,২৪৩। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নজির গড়েছেন তিনি। আইসিসির সীমিত ওভারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান বিরাট কোহলির, তাঁর রান সংখ্যা ২,৯৫৯। আইসিসির প্রতিযোগিতায় রান তাড়া করে সবচেয়ে বেশি ৫০+ রান। আইসিসি ইভেন্টে সবচেয়ে বেশি প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ। এখনও পর্যন্ত ১০বার প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন তিনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম