।। প্রথম কলকাতা।।
Wedding Astrology: চলতি বছরের বিয়ের সিজেন কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েকটি মাসে বিয়ের বেশ কয়েকটি শুভ যোগ রয়েছে । অনেক পরিবারই বর্তমানে বিয়ের প্রস্তুতিতে বেজায় ব্যস্ত । একটা বিয়ের আয়োজন তো আর মুখের কথা নয় ! প্রত্যেকটি জিনিস খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে তবে নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে অনেকেই বিয়ের কার্ডকে শুধুমাত্র আমন্ত্রণ পাঠানোর একটা চিঠি হিসেবেই দেখেন। বিশেষ সেই কার্ড নিয়ে মাথাব্যথা থাকে না কারও । কিন্তু বাস্তু মতে বলে আমন্ত্রণ কার্ড হল বিয়ের জানালা। অর্থাৎ এই কার্ডের মাধ্যমেই নব দম্পতি সম্পর্কে সকলেই অল্পবিস্তর জানতে পারেন। তাই বিয়ের কার্ড একেবারে ত্রুটিহীন হওয়া উচিত বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী।
বিয়ের কার্ড বাছাই করার আগে যে বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত সেই সম্পর্কেই আলোচনা করা হল আজকের প্রতিবেদনে। নিম্নে উল্লেখিত নিয়মগুলি মেনে যদি বিয়ের কার্ড তৈরি করা হয় তবে নব দম্পতির জীবনে সুখ সমৃদ্ধির কমতি হবে না কখনও।
* এখন সবকিছুতেই মানুষ এক্সপেরিমেন্ট করতে বড্ড ভালবাসেন । তাই বিয়ের কার্ডের চিরাচরিত রূপ পাল্টে গিয়েছে । আগে আয়তকার বা বর্গাকার ওয়েডিং কার্ড দেখতে পাওয়া যেত । কিন্তু এখন বাজারে এসেছে তিন কোণা বা পাতার আকারের কার্ড । আবার কোথাও কোথাও বরফি শেপের কার্ডও দেখতে পাওয়া যায় । তবে বাস্তু বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে মঙ্গলজনক বলে মনে করেন সেই পুরনো আয়তাকার বা বর্গাকার বিয়ের কার্ডকেই।
* অনেকেই বিয়ের কার্ডে গণেশের ছবি রাখতে পছন্দ করেন । কোন কোন কার্ডের খামের উপরে ছোট্ট মেটালের গণেশ থাকতেও দেখা যায়। গণেশের মূর্তি কিংবা ছবি রাখা অবশ্যই শুভ । কিন্তু মনে রাখবেন কার্ডের মধ্যে গণেশের ছবি যেন নৃত্যরত না হয়। যে কোন মানুষের জীবনেই দেব-দেবীর নৃত্যরত ছবি নানান বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।
* বিয়ের কার্ডের রং লাল কিংবা মেরুন রাখা সব থেকে শ্রেয়। বিয়ের ক্ষেত্রে এই দুটি রংকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। যার জন্য কনের শাড়ির রঙও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাল কিংবা মেরুন থাকে। তবে কখনই বিয়ের কার্ডে কালো বা ধূসর রং ভুলেও ব্যবহার করবেন না। তাতে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা বাড়বে বরং কমবে না।
* বিয়ের কার্ডে ব্যবহার করতে পারেন সুগন্ধি কাগজ বা পারফিউমড কাগজ। এতে সাধারণত চন্দন, গোলাপ, জুঁই ফুলের সুগন্ধ থাকে। বাস্তুশাস্ত্র মতে ফুলের সুগন্ধ যে কোন নেগেটিভ এনার্জি সরিয়ে দিতে সক্ষম।
* বিয়ের আমন্ত্রণ পত্রে স্বস্তিক চিহ্ন দিতে কিন্তু ভুলবেন না। কারণ হিন্দু ধর্ম মতে স্বস্তিক চিহ্ন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন শুভ কাজে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা স্বস্তিক চিহ্ন ব্যবহার করে থাকেন । প্রচলিত বিশ্বাস এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলে, স্বস্তির চিহ্ন অমঙ্গল দূর করতে সাহায্য করে।
* বিয়ের কার্ডে রাধা কৃষ্ণের ছবি রাখাকেও খুব একটা ভালো বলে মনে করেন না বাস্তু বিশেষজ্ঞরা। কারণ রাধা কৃষ্ণ জগতের জন্য ভালোবাসার প্রতীক হলেও তাদের ব্যক্তিগত জীবন বিরহ যন্ত্রণায় পূর্ণ ছিল। বিয়ে একটা নতুন সম্পর্কের শুরু। তাই সে ক্ষেত্রে বিয়ের কার্ডে রাধা কৃষ্ণের ছবি না রাখাই ভালো।
* এখন বেশ ট্রেন্ডিং হল বিয়ের আমন্ত্রণ পত্রে পাত্র-পাত্রীর ছবি রাখা। সুন্দর ঝা চকচকে সেই কার্ড দেখে সকলেরই ভালো লাগবে। তবে বাস্তু মতে সেটা অত্যন্ত অশুভ হতে পারে। বিয়ের কার্ড সারা জীবন কেউ যত্ন সহ করে রেখে দিতে পারেন না । যত্রতত্র সেটি ফেলে দেওয়া হয় । ওই কার্ডের মধ্যে থাকা পাত্র পাত্রীর ছবি অনেক ক্ষেত্রেই অসাধু কাজে ব্যবহার করা যেতেই পারে।
* সবশেষে যখন আমন্ত্রিতদের হাতে বিয়ের কার্ড তুলে দেবেন তার আগে অবশ্যই মনে করে কার্ডের ওপরে তেল, হলুদ এবং সিঁদুরের ফোঁটা দিয়ে দেবেন । হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এই আচার নিয়মটি অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
বিয়ে দুটি মানুষের নতুন জীবনের শুরু । তাই সকলেই চাইবেন যাতে সম্পূর্ণ বিয়েটি মিটে যায় একেবারে পারফেক্ট ভাবে। কোথাও যাতে কোন রকম অশুভ ছোঁয়া না লাগে। এই নিয়মগুলি মেনে আমন্ত্রণপত্র বাছাই করলে অন্ততপক্ষে এক্ষেত্রে সুফলই মিলবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম