।। প্রথম কলকাতা ।।
ISRO Chairman: “আমরা পেরেছি, চাঁদের দেশে পা রেখেছে ভারত”। আনন্দে চিৎকার করে বললেন ISRO -র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। ইসরো প্রধানের মুখে চওড়া হাসি অথচ ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর বুকে মাথা রেখে কেঁদেছিলেন তৎকালীন ইসরো প্রধান কে শিবন। চাঁদের একদম কাছে এসেও পাননি সাফল্য। ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান ২ মিশন। সেই ক্ষত এবার ভোলালো চন্দ্রযান ৩I SRO- র চেয়ারম্যান যা করলেন কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে। ‘আপনার নাম সোমনাথ আপনি তো সফল হবেনই’ বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চন্দ্রযান ৩ র সাফল্যে আবেগে ভাসলেন ইসরোর চেয়ারম্যান। গত ৪০দিন ধরে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন, তারপর এত বড় সাফল্য।
ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩ মিনিট একটু একটু করে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ছুঁল চন্দ্রপৃষ্ঠ। হাসিমুখে হাততালি দিচ্ছিলেন এস সোমনাথ। নিজের বিরাট অবদান থাকলেও পরিবারের একে একে সকলকে এগিয়ে দিলেন। বর্ষীয়ান বিজ্ঞানীদের মঞ্চ ছেড়ে দিলেন ISRO চেয়ারম্যান। একদম শেষ মুহূর্তে একটি ফোন পান ইসরোর চেয়ারম্যান। তা তুললেনও। অন্য কারও নয়, ফোন করেছিলেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিদেশের মাটি থেকে ISRO প্রধানকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানালেন ইতিহাস লেখার জন্য।
এরপর ভার্চুয়ালি জাতীয় পতাকা দেখান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মাইক্রোফোনের সামনে এস সোমনাথ আসতেই মুখে যেন যুদ্ধ জয়ের হাসি। প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা চাঁদে সফট ল্যান্ডিংহয়ে সফল হয়েছি। ভারত এখন চাঁদে। এটি কষ্টের সাগর পাড়ি দেওয়ার মুহূর্ত। বিজয়ের চন্দ্রপথে হাঁটার মুহূর্ত। দর্শকরা বলছেন মাইক্রোফোনের সামনে এস সোমনাথ চাইলেই নিজের কৃতিত্বের কথা বলতে পারতেন। কারণ চন্দ্রযান ৩ এর মাস্টারমাইন্ড তিনি। অথচ তিনি নিজের কথা নয়, বললেন এতদিন ধরে চন্দ্রযান ৩ নিয়ে লড়ে যাওয়া মানুষগুলোর কথা। ধন্যবাদ জানালেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর, মিশন অপারেশন ডিরেক্টরসহ মিশনের সাথে যুক্ত প্রত্যেক বিজ্ঞানীকে। একজন লিডারের কত বড় মন থাকলে এই কাজ টি করতে পারেন। হ্যাঁ এটাই ইসরো প্রধান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম