।। প্রথম কলকাতা ।।
Cluster Bombs: ইউক্রেনে কেন নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তোলপাড়। ক্লাস্টার বোমা জীবাণু অস্ত্র ছড়িয়ে দিতে পারে। রাসায়নিক অস্ত্র ছড়িয়ে গেলেও রিস্ক আছে। বাইডেনের বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত, এবার কোন পথে হাঁটবেন পুতিন? কি প্রমাণ করতে চাইছে? যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যিই সবকিছুর ঊর্ধ্বে? ক্লাস্টার বোমার ক্ষমতা জানেন? কতটা বিধ্বংসী বাইডেনের এই ক্লাস্টার বোমা? কেন ক্লাস্টার বোমা নিয়ে এতো বেশি বিতর্ক? এর আগে কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে ক্লাস্টার বোমা? রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ জোরদার হচ্ছে। খেলা ঘোরানোর ছক যুক্তরাষ্ট্রের? পেন্টাগনের দাবিই কি সত্যি হবে? সত্যিই কি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বড় ব্যবধান করে দেবে এই নিষিদ্ধ ক্লাসটার বোমা?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ক্লাস্টার বোমার আবিষ্কার। ১০টি অথবা তার বেশি ক্লাস্টার বোমা একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করতে পারে। বৈদ্যুতিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন, যুদ্ধবিমানের রানওয়েও সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে এই ক্লাস্টার বোমা। এই বোমার সাহায্যে রাসায়নিক বা জীবাণু অস্ত্র ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। ল্যান্ডমাইন ধ্বংস করতে এই বোমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পরিকাঠামোর পাশাপাশি মানুষ হত্যাও করা যায় এই বোমার মাধ্যমে।
কিভাবে কাজ করে ক্লাস্টার বোমা?
ছোড়ার পর লক্ষ্যবস্তুর ওপর নির্ভর করে এর ক্যানিস্টারগুলো একটা নির্ধারিত উচ্চতায় খুলে যায়। এরপর এই বোমা থেকে শত শত ছোট ছোট বোমা বেরিয়ে মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। ভূমির কাছাকাছি অথবা ভূমিতেই যেন বিস্ফোরণ ঘটে সেই লক্ষ্যে বোমা বিস্ফোরণে টাইমার ব্যবহার করা হয়। তবে, এগুলো মাটিতে পড়ে না ফাটলেও বহুদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে যা পরবর্তীতে রিস্ক বাড়ায়।
২০০৮ সালে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘের কনভেনশনে সই করেছে ১২০ টা দেশ। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন, রাশিয়া সহ ৭১টি দেশ তাতে যোগ দেয়নি। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এবার, ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১৫৫ মিলিমিটারের হাউইৎজার কামান থেকে ছুড়তে সক্ষম ক্লাস্টার গোলাবারুদ সহ যুদ্ধাস্ত্রের একটা প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে, যার ব্যবহার রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বড় পরিবর্তন এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্ষেপণাস্ত্র থেকে উৎক্ষেপণের পাশাপাশি বিমান, আর্টিলারি, নৌ বন্দুক অথবা রকেট লঞ্চার থেকেও নিক্ষেপ করা যেতে পারে এই গুচ্ছ বোমা। কিন্তু, মানবিক উদ্বেগ সত্ত্বেও, গণবিধ্বংসী হওয়ার পরেও যুক্তরাষ্ট্র কেন ইউক্রেনকে এই বোমা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল? আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই নিয়ে হলুস্থুল পড়ে গেছে জানিয়ে রাখি, ক্লাস্টার অস্ত্রগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পর্যন্ত তিন ডজনেরও বেশি সংঘর্ষে ব্যবহৃত হয়েছে। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে সর্বশেষ এই অস্ত্রগুলোর ব্যবহার করে। এমনকি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর উভয় দেশই ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে। তবে, আতঙ্কের বিষয় হলো এই বোমার কারণে সৈন্য ছাড়াও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ। যা, যে কোনও যুদ্ধাস্ত্র থেকে ক্লাস্টার বোমাকে বিতর্কের ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা এগিয়ে রেখেছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম