।। প্রথম কলকাতা ।।
Odisha train accident: ধনকুবের হয়েও দেশের সাধারণ মানুষকে ভোলেননি আম্বানিরা। নীতা আম্বানির কতটা উদার মন জানেন? ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় অসহায়দের চাকরি দিচ্ছে আম্বানিরা। আর কী কী সাহায্য? প্রথম থেকেই আর্তদের পাশে রিলায়েন্স। এবার কী সিদ্ধান্ত নিলেন মুকেশ পত্নী? আহত-নিহতদের পরিবার ঢালাও সুযোগ। ওড়িশার দুর্ঘটনায় মন কাঁদছে নীতা আম্বানির। ক্যানসারের সঙ্গে যখন যুদ্ধ করছিলেন রাখি সাওয়ান্তের মা। মায়ের চিকিৎসায় রাখিকে সেই সময় সাহায্য করেছিলেন মুকেশ আম্বানি। শুধু নিজেদের প্রতিপত্তি বাড়ানো নিয়েই ভাবেন না আম্বানিরা। অসহায়দের সাহায্যে বারবার এগিয়ে এসেছেন। এবার ওড়িশায় দুর্ঘটনায় আর্তদের পাশে দাঁড়ালেন নীতা আম্বানি নিজে।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের তরফে নেওয়া হল ১০ দফা কর্মসূচি। উদ্ধারকাজ থেকে শুরু করে নিহতদের পরিবারকে সাহায্য সব দিক থেকে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিল রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন। বিপর্যস্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ নিল আম্বানিরা। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন নীতা আম্বানি। পাশাপাশি রিলায়েন্স আর কী কী উদ্যোগ নিল জানুন।
মৃতদের পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনে অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করার ভরসা দিলেন নীতা আম্বানি। অর্থাৎ নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দিচ্ছে আম্বানিরা। নিহত ও আহতদের পরিবারের মাসিক খরচ সঙ্গে চাল, ডাল, চিনি, তেল সহ রেশন সামগ্রী দিচ্ছে রিলায়েন্স। বিপর্যস্তদের ওষুধের বন্দোবস্তের ব্যবস্থা। যাঁদের এই দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হয়েছে তাঁদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। যেমন হুইলচেয়ার দেওয়া হবে। যেসব যাঁত্রী দুর্ঘটনার জেরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তাঁদের মানসিক চিকিৎসার দায়িত্ব, তবে সেটাও বিনামূল্যে। নিহতদের পরিবারের মহিলাদের নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রোজগারের ব্যবস্থা। এছাড়াও বিনামূল্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ব্যবস্থাও করছে রিলায়েন্স। ৬ জুন সংবাদমাধ্যমে এমনই তথ্য দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে।
নীতা আম্বানি জানান দুর্ঘটনার সম্পর্কে জানতে পেরেই রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহতদের উদ্ধার করতে ও হাসপাতালে পাঠাতে সাহায্য করতে শুরু করে উদ্ধারকারী দল এবং অসহায় যাত্রীদের খাবারের বন্দোবস্ত করেছে রিলায়েন্স। মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানির বিলাসবহুল জীবন সম্পর্কে কম-বেশি সকলেরই জানা। এশিয়ার সবচেয়ে ধনী এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির স্ত্রী তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে দামি শাড়ি পরে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ড গড়েছেন। যে কাপে তিনি চা খান, তার দাম নাকি ৩ লক্ষ টাকা। কাপটি এসেছে সুদূর জাপান থেকে। সকালে ঘুম ভাঙার পর থেকে রাতে ঘুমোনো পর্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন নীতা। কিন্তু তা বলে তাঁর মন পরে থাকে গরিব দুঃখীদের জন্যও। নিজে উদ্যোগ নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন নীতা। সত্যিই তাঁর এই কাজের জন্য কুর্ণিশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম