।। প্রথম কলকাতা ।।
Holika Dahan 2023: ২০২৩ সালে ৭ই মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার হোলিকা দহন (Holika Dahan) রয়েছে। ৮ই মার্চ গোটা দেশ জুড়ে পালন করা হবে হোলি উৎসব। তার আগের দিন রয়েছে হোলিকা দহন। বাঙালির কাছে হোলিকা দহন ন্যাড়া পোড়া নামে বিশেষ ভাবে পরিচিত। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হোলিকা দহন হয় এবং পরের দিন রং দিয়ে হোলি (Holi) খেলা হয়। এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস। মনে করা হয়, ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত প্রহ্লাদকে হোলিকার কোলে বসিয়ে হিরণ্যকশিপু জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় হোলিকা নিজে পুড়ে মারা যান। কিন্তু প্রহ্লাদের কোন ক্ষতি হয়নি। সেদিন ছিল ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা। সেই থেকে হোলিকা দহন শুরু। হোলিকা দহন মন্দের উপর ভালোর বিজয়ের প্রতীক হিসাবে সঞ্চালিত হয়। শুভ সময়ে হোলিকা দহনের পুজো করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হোলিকা দহনের সময় যে ভুল এড়িয়ে যাবেন
- কথিত আছে, হোলিকা দহনের আগুন একটি জ্বলন্ত শরীরের প্রতীক। তাই কোনো নবদম্পতি যেন এই আগুন দেখতে না পায়। এটাকে অশুভ মনে করা হয়। এতে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- হোলিকা দহনের দিনে কাউকে টাকা ধার দেওয়া নিষিদ্ধ। এর ফলে সমৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি হয় এবং ব্যক্তির আর্থিক সমস্যা বাড়তে থাকে। এই দিনেl ধার নেওয়া থেকেও বিরত থাকবেন।
- বিশ্বাস করা হয়, পিতামাতার একমাত্র সন্তান হলে হোলিকা দহনের আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকা উচিত। এটাকে শুভ বলে মনে করা হয় না। এক ভাই ও এক বোন থাকলে হোলিকার আগুন জ্বালানো যায়।
- এই দিনে হোলিকা দহনের জন্য পিপল, বটগাছ বা আমের কাঠ ব্যবহার করা উচিত নয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই গাছগুলো ঐশ্বরিক ও পূজনীয় গাছ। এছাড়াও এই মৌসুমে এই সব গাছে নতুন কুঁড়ি আসে, এমত অবস্থায় এগুলি পোড়ালে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। হোলিকা দহনের জন্য গুলার বা ক্যাস্টর গাছের কাঠ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- এই দিনে অবশ্যই মায়ের আশীর্বাদ নিন। মাকে কিছু উপহার দিন, এতে শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হন এবং তাঁর কৃপা বজায় থাকে। ভুলেও কোনো নারীকে অপমান করবেন না।
হোলিকা দহনের শিখা নির্দেশ
- উত্তর দিক- হোলিকা দহনের সময় আগুন উত্তর দিকে থাকলে দেশ ও সমাজে সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পায়। এই দিকে কুবের সহ অন্যান্য দেবতার অধিবাসের কারণে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়। চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষি ও বাণিজ্যে অগ্রগতি রয়েছে।
- দক্ষিণ দিক- হোলিকা দহনের আগুন দক্ষিণ দিকে থাকলে অশুভ বলে মনে করা হয়। দক্ষিণে হোলিকার শিখা থাকার কারণে ঝগড়া-বিবাদ বাড়তে পারে। যুদ্ধ ও অস্থিরতার পরিস্থিতিও রয়েছে। এই দিকে যমের প্রভাবে রোগ ও দুর্ঘটনা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও থাকে।
- পূর্ব দিক- হোলিকা দহনের শিখা যদি পূর্ব দিকে হেলে থাকে তবে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এটি শিক্ষা-আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মকে উৎসাহিত করে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা। মানুষের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। সেই সঙ্গে সম্মানও বাড়ে।
- পশ্চিম দিক- হোলিকা দহনের আগুন পশ্চিম দিকে উঠলে গবাদিপশু ও ধন লাভ হয়। অর্থনৈতিক অগ্রগতিও ধীরে ধীরে শুরু হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। এই সময়ে চ্যালেঞ্জ বাড়ে কিন্তু সাফল্যও আসে।
উপরোক্ত এই ধ্যান-ধারণা গুলি সাধারণত প্রচলিত বিশ্বাসের উপর গড়ে উঠেছে। এগুলির সাথে কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি জড়িয়ে নেই। এই প্রচলিত বিশ্বাস গুলি মানা বা না মানা ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম