।। প্রথম কলকাতা ।।
China -Tajikistan Earthquake: গোটা বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প (Earthquake) যেন তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। তুরস্কের (Turkey) ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এবার কেঁপে উঠল চীন-তাজিকিস্তান (China-Tajikistan ) সীমান্ত। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিট নাগাদ ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এই অঞ্চল কেঁপে ওঠে। সাম্প্রতিক সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভূমিকম্পের খবর আসছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা অনুযায়ী কতটা ক্ষতি হয় জানেন? ভারতও ভূমিকম্পের রিস্ক জোনে রয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোররাতে হওয়া ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক আর সিরিয়া মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এই দুই দেশে ভূমিকম্পের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫০ হাজারের মানুষ। হাজার হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পের প্রায় দু সপ্তাহ কেটে গিয়েছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই দুই দেশের আকাশে মৃত্যুর হাহাকার। এসবের মাঝে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাজিকিস্তানের পূর্বাঞ্চল। যার গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০.৫ কিলোমিটার নিচে। ভূমিকম্পের উৎস স্থল আফগানিস্তান আর চীন সীমান্তের মাঝামাঝি অংশে। যদিও এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, তবে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি শক্তিশালী আফটার শক অনুভূত হয়েছে। যে অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে সেটি খুব একটা জনবহুল নয়। তাই প্রাণহানির সম্ভাবনা অনেকটা কম, তবে ভূমিকম্পের জেরে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে, চীনের জিনজিয়াং অঞ্চল এবং তাজিকিস্তানের সীমান্তের কাছে প্রায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের মাত্রা অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
- ০ থেকে ১.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে তা শুধুমাত্র সিসমোগ্রাফের মাধ্যমেই জানা যায়। এক্ষেত্রে খুব একটা কম্পন অনুভূত হয় না।
- ২ থেকে ২.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে হালকা মাত্রায় কম্পন অনুভূত হয়। ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা খুব কম।
- ৩ থেকে ৩.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে কম্পন অনুভূত হয়। এক্ষেত্রেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম।
- রিখটার স্কেলে ৪ থেকে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে জানালা ভেঙে যেতে পারে। দেয়ালে ঝুলন্ত ফ্রেম পড়ে যেতে পারে।
- ৫ থেকে ৫.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে আসবাবপত্র নড়তে পারে।
- ৬ থেকে ৬.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে ভবনের ভিত্তি ফাটতে পারে। উপরের তলায় ক্ষতি হতে পারে।
- ৭ থেকে ৭.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে ভবন ধসে পড়ে। মাটির ভিতরে পাইপ ফেটে যায়। যার ধ্বংসলীলার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখা যাচ্ছে তুরস্ক আর সিরিয়ায়।
- যখন ৮ থেকে ৮.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হয়, তখন বিল্ডিং সহ বড় ব্রিজও ধসে পড়ে।
- ৯ এবং তার বেশি রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প মানে সম্পূর্ণ ধ্বংসযজ্ঞ। কেউ যদি মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকেন, তিনি পৃথিবীকে দুলতে দেখবেন। এর ফলে ভয়ঙ্কর সুনামি তৈরি হতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম