।। প্রথম কলকাতা ।।
Curd Side Effects: ভারতীয়দের মধ্যে দইয়ের (Curd) জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেশি। টক দই কিংবা মিষ্টি দই শুধু যেমন খাওয়া হয় তেমনই বহু রান্নায় টক দই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাতে রান্নার স্বাদ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। খাওয়া দাওয়ার পরেও অনেকে টক দই অথবা মিষ্টি দই খেতে বেশ ভালোবাসেন। আমাদের শরীরের জন্য দইয়ের উপকারিতা অনেক বেশি। তাই এক বাটির দই আপনাকে সুস্বাস্থ্য উপহার দিতে পারে। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ বহু উপাদান। কিন্তু তারপরেও কিছু কিছু মানুষের জন্য দই কোন বিষাক্ত পদার্থের থেকে কম নয়।
এমনটা কেন ? দইয়ের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও কাদের দই খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে ? আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরের দূষিত পদার্থ গুলিকে বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য দইয়ের কোন বিকল্প হয় না। টক দই কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি খাবার তাড়াতাড়ি হজম করে দিতেও সাহায্য করে। দইয়ের মধ্যে থাকে প্রো-বায়োটিক উপাদান। যা আপনার লিভারকে ভাল রাখতে পারে। কিন্তু কিছু কিছু রোগ এমন রয়েছে যে ক্ষেত্রে দইয়ের উপকারের থেকে অপকারটাই বেশি করে। চলুন জানা যাক, কারা এড়িয়ে চলবেন দই?
- যাদের গাঁটে গাঁটে ব্যথার সমস্যা রয়েছে, আর্থ্রাইটিসে (Arthritis) ভোগেন তাদের একেবারেই দই খাওয়া উচিত নয়। তাঁরা যদি নিয়মিত দই খেতে থাকেন তাহলে এই গাঁটে ব্যথার সমস্যা আরও বাড়তে থাকবে।
- যারা হজমের সমস্যায় সারাবছর ভোগেন তাঁরা প্রতিদিন দই খাবেন না। অতিরিক্ত দই আপনার পরিপাকতন্ত্রকে দুর্বল করে দিতে পারে। যার ফলস্বরূপ কোষ্ঠকাঠিন্যের (Constipation) সমস্যা দেখা দেবে। এই কারণে যতটা পারবেন কম পরিমাণে খাবেন দই।
- শীতকালে খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর অনিয়ম দেখা যায়। এই কারণে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির (Acidity) সমস্যা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যায় একেবারেই দই খাওয়া উচিত নয়।
- যারা হাঁপানির রোগী তাঁরা ভুলেও দই খাবেন না। এতে হাঁপানির সমস্যা আরও বাড়ে।
- অনেকের ত্বকেই ইনফেকশন, চুলকানি কিংবা ব্রণের মত সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাঁরা যতটা দই না খাবেন ততই মঙ্গল।
- অতিরিক্ত টক দই মহিলাদের শ্বেত স্রাবের সমস্যাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে দই না খাওয়াই ভালো।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম