।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistani Women in Kolkata: কথায় আছে ভালোবাসা মানে না কোনো বাধা। পাঁচ বছর ধরে ভিডিও কলে প্রেম করেছেন। একে অপরকে ভালোবেসেছেন। সারাজীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু সেভাবে সামনাসামনি দেখা করা হয়ে ওঠেনি। তার মূল বাধা ছিল কাঁটা তারের বেড়া। এবার সেই বাধা ভেঙে প্রেমের টানে কলকাতায় চলে এলেন পাক তরুণী। অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো। দুই পরিবারের মধ্যে কথাও হয়ে গিয়েছে। নতুন বছরের ৬ই জানুয়ারি একে অপরের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে বাধা পড়বেন। সেই সুদূর করাচি থেকে কলকাতায় আসা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না। সামনে ছিল পাহাড় সমান বাধা। কিন্তু ওই যে প্রকৃত ভালবাসার সামনে সব বাধাই তুচ্ছ। ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে অসাধ্য সাধনও করা যায়।
খুব শীঘ্রই ৫ বছরের প্রেমের পূর্ণতা পেতে চলেছে। পাত্র কলকাতার। নাম সমীর খান। ওই তরুণী পাকিস্তান থেকে ভারতে আসার জন্য পেয়েছেন ৪৫ দিনের ভিসা। তার সঙ্গে এসেছেন বাবা আজমল ইসমাইল খান। তরুণীর নাম জাভেরিয়া খান। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের করাচি থেকে অমৃতসরের ওয়াঘা বর্ডার দিয়ে প্রবেশ করেছেন ভারতে। খুব শীঘ্রই কলকাতায় বসতে চলেছে বিয়ের আসর। দুই বাড়ির তরফ থেকেই কোন আপত্তি নেই। হয়ত ভাবছেন, তাহলে বাধাটা কোথায় আসল? আসলে এক দেশ থেকে আর এক দেশে আসার কম ঝক্কি নেই। ভিসা পেতে প্রথমে একটু সমস্যা হয়েছিল। হবু বউকে ভিসা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সমীর। শোনা যাচ্ছে, দুজনের এংগেজমেন্ট হয়ে গিয়েছে।
সমীর আর জাভেরিয়ার প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল ভীষণ ইন্টারেস্টিং ভাবে। সমীর জাভেরিয়ার ছবি দেখেছিল তার মায়ের ফোনে। প্রথম দেখাতেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। সময়টা তখন ২০১৮ সাল। জার্মানিতে পড়া শেষ করে ফেরেন কলকাতায়। জাভেরিয়া দেখে বিয়ের কথা জানান সমীর। তারপর ২০২০ সালে দুজনের আলাপ হয় থাইল্যান্ডে। সমীরের মায়ের মতে, বাড়িতে বউ না, মেয়ে পেয়েছেন। নিজের হাতে ডিজাইন করেছেন জাভেরিয়ার বিয়ে এবং গায়ে হলুদের শাড়ি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম