।। প্রথম কলকাতা ।।
Christmas day: বাইবেলে যিশুর জন্মতারিখের কোনও উল্লেখ নেই। তবু প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটি যিশুর জন্মদিন হিসেবেই পালন করা হয়। ইতিহাস বলে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেথেলহেমের এক গোশালায় কুমারী মা মেরীর কোলে জন্ম হয় যিশুর। বলা হয় বিশ্ব থেকে হিংসা ভেদাভেদ মুছে ফেলতেই জন্ম হয় তাঁর। এমনকী অনেকেই যিশুকে সূর্যের সন্তানও মনে করেন।
কিন্তু পঁচিশে ডিসেম্বর বড়দিন পালনের নেপথ্যে আসল কারণ কি?
প্রাচীন রোমানরা ছিলেন প্রকৃতির পূজারী। তাই অনেকেই ভাবেন এই রোমান পেগানরাও যাতে উৎসবে মেতে উঠতে পারেন সেই কথা ভেবেই ২৫ ডিসেম্বর পালন করা হয় বড়দিন। কিন্তু এই তথ্যের স্বীকৃতি দেয় না ইতিহাস। ইতিহাস বলে, খ্রিস্টানরা পেগান ধর্মকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি। বরং সবসময়ই একটু দূরত্বে থাকার চেষ্টা করেছে।
সে বহু বহু বছর আগের কথা। নাজারেথ নামে এক জায়গায় স্থান ছিল। সেখানে মরিয়ম (মেরী) নামে এক মহিলা বাস করতেন। তিনি জোসেফ নামে এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েন। একদিন ঈশ্বর জিব্রাইল নামে পরীকে দূত হিসেবৈ মরিয়মের কাছে পাঠালেন। জিব্রাইল মরিয়মকে বলেন ঈশ্বর মানুষকে সাহায্য করার জন্য পৃথিবীতে একটি পবিত্র আত্মা পাঠাচ্ছেন। সেই আত্মা মরিয়মের পুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করবে। তার নাম হবে যীশু।
অবিবাহিত মেরী চিন্তায় পড়লেন। পরী তাকে এ কথাও বললেন, এটা হবে ঈশ্বরের অলৌকিক ঘটনা।এলিজাবেথ নামে চাচাতো ভাই যার কোনও সন্তান ছিল না সেও জন দ্য ব্যাপিস্ট নামে একটি সন্তানের জন্ম দেবে। সেই সন্তান যীশুর জন্মের পথ প্রস্তুত করবে। এ কথা শুনে মরিয়ম ঈশ্বরের কথায় রাজি হলেন। তিনি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এবং তিন মাস পর ফিরে এসেছিলেন। ততক্ষণ তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
এতে জোসেফ চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি মরিয়মকে বিয়ে না করার কথা ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু একদিন রাতে ঘুমের মধ্যে একজন জোসেফকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে তাকে ঈশ্বরের ইচ্ছার কথা বলেন। ঈশ্বরের কথা অনুযায়ী জোসেফ পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মেরীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তারা বেথেলহেমে যান। সেখানে পৌঁছে তারা দেখতে পেল সেখানে প্রচুর ভিড়। তাদের থাকার জায়গা নেই। তারা একটি পশুর শস্যাগারে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে মরিয়ম ঈশ্বরের পুত্র জন্ম দেন। তার নাম রাখেন যীশু। ঈশ্বর আকাশ একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মাধ্যমে যিশুর জন্ম নির্দেশ করেছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জ্ঞানী গুণীরা সেই নক্ষত্র দেখে যিশুর জন্মস্থানে পৌঁছন। তারা শিশু এবং তার পিতামাতার জন্য উপহার নিয়ে আসেন। বেথেলহেমের অন্যান্য অংশে যেখানে রাখালরা পশু চড়াতেন ঈশ্বরের দূতরা সেইসব জায়গায় গিয়ে তাদের সুসংবাদ দিতে লাগলেন।উপহার বিলি করলেন। খুশি হয়ে রাখালরা পৃথিবীতে পবিত্র আত্মাকে স্বাগত জানাতে গান গেয়েছিল। যীশুর জন্ম উপভোগ করতে উৎসবে মেতে উঠেছিল। দিনে দিনে তা আজকের বড়দিনের উৎসবে পরিণত হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম