।। প্রথম কলকাতা ।।
Aachar Making Business: ব্যবসা করার জন্য একটু বিচক্ষণতার প্রয়োজন রয়েছে। মানুষের মধ্যে যেই জিনিসগুলির চাহিদা আছে সেটাকে কেন্দ্র করে ব্যবসা (Business) দাঁড় করাতে পারলে বাজার রমরমা। যেমন প্রত্যেকটি ভারতীয় বাড়িতেই আচার (Aachar) খাওয়ার একটা চল রয়েছে। অনেকেই আচার বাড়িতে তৈরি করে নেন। কিন্তু এমন বহু মানুষ রয়েছেন যারা বাড়িতে আচার তৈরি করার ঝামেলা নিতে চান না । এছাড়াও বাড়িতে সব রকম আচার তৈরি করাও সম্ভব নয়। তাই বাজারের উপরেই ভরসা করতে হয় তাদের । এখন বহু ভারতীয় বিদেশে বসবাস করেন কাজের সূত্রে।
কিন্তু তাদের জিহ্বার স্বাদ তো আর বদলে যেতে পারে না। খাবারের সাথে তাঁরাও একটু আচার খোঁজেন। এই কারণে বিদেশে থাকা ভারতীয় সুপারমার্কেট কিংবা দোকানগুলিতে ভারত থেকে আচার নিয়ে যাওয়া হয়। অর্থাৎ ব্যবসাটি আন্তর্জাতিক স্তর পর্যন্ত ছড়ানো। কিন্তু আন্তর্জাতিক কথাটি শুনে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। আচার তৈরির ব্যবসা প্রাথমিকভাবে শুরু করতে গেলে খুব জোর ১০,০০০ টাকা প্রয়োজন আর প্রয়োজন প্রশিক্ষণের।
পুঁজি : আপনি যদি ছোটখাটো আচারের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ওই পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা যথেষ্ট। আর বৃহৎ আকারে ব্যবসাটি শুরু করতে চাইলে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আচার তৈরি করা এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি যতটা কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারবেন ততটাই আচার উৎপাদিত হবে । কাজেই পুরোটাই আপনার নিয়ন্ত্রণে। আর একেবারে অল্প কাঁচামাল দিয়েও এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
কাঁচামাল : আপনি যে যে ফল কিংবা সবজির আচার তৈরি করতে চাইবেন সেগুলিই হবে আপনার কাঁচামাল। যেহেতু ভারতে বহু রকমের আচারের প্রচলন রয়েছে তাই সব একসাথে তৈরি করা সম্ভব নয়। বিশেষত্ব হিসেবে কয়েকটি আচার বেছে নিন যেগুলি তৈরি করতে পটু আপনি।
আচার তৈরির প্রশিক্ষণ : ব্যবসা শুরু করতে গেলে সর্বপ্রথম সেই ব্যবসার কাজ নিজেকেই করতে হয়। আর আপনি যদি নিজে আচার না তৈরি করতে পারেন তাহলে কর্মচারী দিয়েও ভালো ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব হবে না। এখন রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একাধিক এমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে যেখানে ছোট ছোট ব্যবসাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । সেই রকম কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে দু তিন হাজার টাকা খরচ করে আচার তৈরি করার ট্রেনিং নেওয়াই যায়।
* কীভাবে তৈরি করবেন ?
ছোট ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রথমত বাড়ি থেকেই শুরু করা ভালো। অল্প অল্প কাঁচামাল দিয়ে আচার তৈরি করুন। সেগুলি প্রতিদিন নিয়ম করে রোদে রাখুন। তবে প্যাকেজিং এর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাজে প্লাস্টিকে যদি প্যাকেজিং করা হয় তাহলে আপনার কোম্পানির শুরু হওয়ার আগেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে । এমন কন্টেইনার ব্যবহার করুন যেগুলি স্বচ্ছ এবং ভালো মানের। সঠিক ওজন করে কোম্পানির নাম দেওয়া লেভেল গায়ে লাগিয়ে এক্সপায়ারি ডেট হিসাব করে তবে মাল বিক্রি করুন।
* কীভাবে মার্কেটিং করবেন ?
ছোট ছোট আচার ব্যবসায়ীদের আচার তৈরি করে আপনি পাইকারি দামি বিক্রি করতে পারেন । এলাকায় থাকা দোকানে আচার প্যাকেটে কিংবা জারে করে বিক্রি করতে পারেন । কোন রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে আচার দিতে পারেন। এছাড়াও সুপার মার্কেট গুলিতে আচার বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। ডিস্ট্রিবিউটার দিয়ে আপনি নিজে নিজের তৈরি আচার বিক্রি করতে পারেন । বড় বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলি যেমন Amazon, Flipkart কে ব্যবহার করতে পারেন নিজের ব্যবসার জন্য।
* লাভ কী রকম ?
এই ব্যবসায় লাভ পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার তৈরি করা আচানের মান কী রকম তার ওপর। কোন কোন আচার ব্যবসায়ী মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারেন। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে এবং বেস্ট কোয়ালিটির আচার গ্রাহকের পৌঁছে দিতে হবে। তবেই গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে । অর্ডারের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং লক্ষ্মী লাভ সম্ভব হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম