।। প্রথম কলকাতা ।।
Money Recovery: বিগত বছরে শহর কলকাতার টালিগঞ্জ, গার্ডেনরিচ এমনকি বেলঘরিয়ার একাধিক ফ্ল্যাট থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে সেই ঘটনা এখনও পর্যন্ত স্মৃতিতে রয়েছে জনসাধারণের। আর সেই স্মৃতিকে উস্কে দিয়ে নতুন বছরের শুরুতে খড়দায় (Khardah) একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এক অধ্যাপকের বাড়ি থেকে চিরুনি তল্লাশিতে উদ্ধার হল প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা (Money Recovery)। সেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। এই টাকা উদ্ধার করে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার নাথুপাল ঘাট রোডে এক ব্যক্তির বাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশি চালানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয় বলে জানা যায়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের (Barrackpore police commissionerate) গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক এবং খড়দা থানার পুলিশ সেই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় এবং একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ চলতে থাকে। অবশেষে উদ্ধার করা হয় বান্ডিল বান্ডিল টাকা। ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ওই ফ্ল্যাটের মালিক হলেন অমিতাভ দাস। স্থানীয়রা জানান, তিনি পেশায় একজন প্রফেসর। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে বিগত প্রায় আড়াই বছর ধরে বসবাস করছেন তিনি।
বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিএড, এলএলবি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করিয়ে দিতেন। এছাড়াও তাদের ভুয়ো সার্টিফিকেট পর্যন্ত তৈরি করিয়ে দিতেন। এইভাবেই একেকজনের কাছ থেকে তিনি টাকা আদায় করতেন। আর সেই বেআইনিভাবে হাতিয়ে নেওয়া টাকার কিছু অংশই এই ফ্ল্যাটে রাখা ছিল। এমনটাই অনুমান করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও এই টাকার উৎস কী তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। আবারও বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত অমিতাভ দাসের প্রতিবেশীরাও এই ঘটনায় হতবাক হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম