।। প্রথম কলকাতা ।।
Gur Benefits: শীত পড়তেই শহরের রাস্তায় চারিদিকে গুড় পাটালির পসরা বসেছে। শীত মানেই নলেন গুড়ের পায়েস পিঠে আরও কত কি। মিষ্টির দোকানগুলিতে এই সময় গুড়ের তৈরি নানান সুস্বাদু মিষ্টির বাহার চোখে পড়ে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের গুড় পাওয়া যায় যেমন ঝোলা গুড়, ভেলি গুড়, চিটে গুড়, নলেন গুড়, পাটালি গুড়, সাদা খেজুর গুড়, তালের গুড় প্রভৃতি। গুড়ে রয়েছে দারুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা। ভারতীয়দের পছন্দের খাবারের তালিকায় গুড় বেশ জনপ্রিয়। অনেকেই চিনির বিকল্প হিসেবে গুড়কে বেছে নেন। এই মিষ্টি জিনিস থেকে তৈরি হয় নানান গুরুত্বপূর্ণ আয়ুর্বেদিক ওষুধ। বাঙালির ঘরে ঘরে গুড় দিয়ে রুটি, পিঠে, পায়েস খাওয়ার চল রয়েছে।
•অতিরিক্ত চিনি মানে ব্লাড সুগারের ভয়, কিন্তু গুড়ের মিষ্টত্ব কখনোই আপনাকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে ফেলবে না। জন্ডিস রোগের ক্ষেত্রেও গুড় বেশ উপকারী।
•আয়রন সমৃদ্ধ গুড় রক্ত সঞ্চালনের সাহায্য করে এবং রেসপিরেটরি সিস্টেম ভালো রাখে।
•অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গুড় শরীরকে বিষমুক্ত রাখে এবং অ্যান্টি অ্যালার্জি হিসেবে কাজ করে।
• প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সামান্য এক টুকরো গুড় রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য গুড় বেশ কার্যকরী।
•প্রি মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমে কম-বেশি সমস্ত মহিলাই ভোগেন। সাধারণত হরমোনের কম বেশি ক্ষরণের ফলে নানান সমস্যা দেখা দেয়। গুড় শরীরে হরমোন ক্ষরণের সমতা রক্ষা করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গুড় খেলে ক্ষতি নেই।
•গুড় খেলে সর্দি কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়। শীতকালে গুড় শরীরকে গরম রাখে এবং ভাইরাল সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও লিভার ভালো রাখতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং জয়েন পেইন কমাতেও গুড় অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার।
•গুড় যেহেতু রক্তকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, তাই ত্বকের কোনো রকম ইনফেকশন হতে দেয় না।
•চিনি খুব দ্রুত রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। যা একেবারেই ভালো নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে সুগারের পরিমাণ কিডনি আর চোখের ব্যাপক ক্ষতি করে। কখনো বা হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তবে গুড় খেলে এই সমস্যা হবে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম