।। প্রথম কলকাতা ।।
কারোর চোখ রাঙানি সহ্য করবেন না শেখ হাসিনা। পাত্তাই দিলেন না যুক্তরাষ্ট্রকে। উল্টে কড়া হুঁশিয়ারি। হত্যাকারীদের সাথে কোন বৈঠক নয়। বাংলাদেশের নির্বাচন হবে ভারতের মতো। আরো তেতে উঠছে বিরোধীরা। নির্বাচনের আগেই চরম অশান্তির ছায়া। জড়িয়ে গেল বাইডেনের নাম! তাহলে বলতে টা কি চাইছেন হাসিনা? পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে না তো? কী হতে চলেছে? জেনে রাখুন।
বাংলাদেশ জুড়ে এখন হলুস্থুল কাণ্ড। নির্বাচনের আগেই ঢাকার বাতাসে হিংসার গন্ধ। উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে বিশ্বের বহু পরাশক্তি। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপ করার আহ্বান জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। কিন্তু সেই কথাকে এক্কেবারেই তোয়াক্কা করলেন না শেখ হাসিনা। বিরোধীদের সাথে কোন রকম সংলাপ নয়। শেখ হাসিনার কড়া জবাব, পার্লামেন্টারি ব্যবস্থায় বিরোধী দলের সংজ্ঞা অনুযায়ী বিরোধী দল তারাই যাদের সংসদে সিট আছে। এর বাইরে যে দলগুলো আছে, আমেরিকার মতো দেশেও কিন্তু তাদের বিরোধী দল হিসেবে গণ্য করা হয় না। রীতিমত বিরোধীদের খোঁচা দিয়েই বললেন, পার্লামেন্টের অংশ নয় এমন দলকে বাংলাদেশে বিরোধীদল বলা হয় না।
শেখ হাসিনার স্পষ্ট কথা, যেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সংলাপ হবে, সেদিনই তিনি বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপ করবেন। তার আগে বিরোধী দলগুলোর সাথে কোন ধরনের কথা নয়। হত্যাকারীদের সঙ্গে কোন আলোচনার ব্যাপারই নেই। কারণ এটা বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা চায় না। তবে নির্বাচন নিয়ে কোন চিন্তা নেই। যথাসময়ে ভোট গ্রহণ করা হবে। মূলত বিএনপিকেই কাঠগোড়ায় তুলছেন শেখ হাসিনা। তার মতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করছে। বিএনপি চাইছে না ভোট সুষ্ঠুভাবে হোক। তৈরি করছে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি।
সাথে কড়া প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। শেখ হাসিনার কথায়, এই সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রশ্ন করা উচিত ছিল, সাম্প্রতিক সহিংসতায় যে এতগুলো মানুষ হত্যা হলো সেই বিষয়ে কেন কোন মন্তব্য নেই? কেন তারা বিচারের দাবি করে না? হাসিনার প্রশ্ন, ২৮ শে অক্টোবর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যে তীব্র অশান্তি হল, মানুষের মৃত্যু হল, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এত নীরব কেন? কোথায় গেল মানবিক বোধ? তাই “মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডিনার খাক আর ডায়লগ করুক, এটা আমাদের দেশ। আমরা স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে। কাজেই আমাদের সার্বভৌমত্বের বিষয়টা যুক্তরাষ্ট্রের মাথায় রাখা উচিত”। কে চোখ রাঙালো আর কে বাঁকালো তার কোন পরোয়া করেন না তিনি। অনেক সংগ্রাম করে প্রতিষ্ঠা করেছেন গণতন্ত্র। সেখানে কোনো আঁচ আসতে দেবেন না। ভারত, কানাডা, ইংল্যান্ড সহ সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও ঠিক সেটাই হবে।
শেখ হাসিনা তীব্র জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া যে আসবে তা আশাই করা যায়। অপরদিকে বিএনপি তোপ দাগছে আওয়ামী লীগের উপর। যদি সুষ্ঠু সমাধান না হয় তাহলে নির্বাচন কিভাবে শান্তিপূর্ণ হবে? এটা সত্যি চিন্তার বিষয়। শাসক দল আর বিরোধী দলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, দ্বন্দ্ব একেবারেই নতুন নয়। কিন্তু তার মাঝে ফেঁসে যাচ্ছে না তো বাংলাদেশের মানুষ? আপনার কি মনে হয়? যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে কথা বলবে তো? বাংলাদেশে ধিকে ধিকে বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম