।। প্রথম কলকাতা ।।
History of Marie Biscuits: চা ছাড়া বাঙালির ঘুম থেকে উঠা বা আডডা কোনো কিছু জমে নাকি? চায়ের সঙ্গে টা থাকবে না সেটা হয় না। অর্থাৎ বুঝতে পেরেছেন আমরা বিস্কুটের কথা বলছি। বাঙালির আডডা র প্রধান উপকরণ চা আর বিস্কুট। এই বিস্কুটের তালিকায় সবার আগে নাম রয়েছে মারি বিস্কুটের। সোনালী গোলাকার হালকা মিষ্টি এবং মুচমুচে বিস্কুটের উপর নানান রকম কারু কার্য সঙ্গে লেখা মারি। ব্রিটিশদের আমরা বিদায় দিয়েছি অনেক আগেই। তাদের তৈরি লোভনীয় খাদ্য বস্তুকে আমরা ত্যাগ করতে পারিনি। সকলের বাড়িতেই এই বিস্কুট থাকে। কখনো আপনাদের জানতে ইচ্ছে করে না কিভাবে তৈরি হলো এই মারি বিস্কুট? এর পিছনে রয়েছে একটি দীর্ঘ ইতিহাস। তা জানাব আজ আপনাদের।
ছোট বড় সকলের কাছে সহজলভ্য মারি বিস্কুট। পাড়ার দোকান হোক বা বাড়িতে সকাল সন্ধ্যা চায়ের সঙ্গে দেদার চলে মারি বিস্কুট। একটু খেয়াল করে দেখবেন এই গোলাকার বিস্কুটের উপর লেখা থাকে মারি। কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই নামের কারণ কী? আবার বিস্কুটটি চারপাশে একটি সীমানা রয়েছে। এটি রাশিয়ার একটি সাধারন প্যাটার্ন। ১৮৭৪ সাল রাশিয়ার গ্র্যান্ড ডাচেস মারিয়া আলেকজান্দ্রোভনার সঙ্গে ডিউক অব এডিনোব্রা আলফ্রেডের বিবাহ সেই উপলক্ষে এক নতুন ধরনের মিষ্টি বিস্কুট তৈরি করল লন্ডনের বেকারি পিক ফ্রি আন্স। বিস্কুটটি সেরা বেকার, টেস্টার এবং উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এই মারিয়া বিস্কুটটি গমের আঠা চিনি সূর্যমুখী তেল এবং ভ্যানিলার নির্যাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। জানেন সেই রেসিপিটি আজও মারি বিস্কুট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
তখন অবশ্য ওই বিস্কুটের নাম মারি নামকরণ হয়নি। তাহলে হলো কিভাবে গৃহযুদ্ধ পরবর্তী সময় পর্তুগাল ও স্পেনের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে বাঁচিয়ে রেখেছিল এই গোলাকার বিস্কুট। প্রথমে নাম ছিল মারিয়া তাতে থেকে পরবর্তীতে মারি নামের উৎপত্তি বিস্কুটের মাঝখানে লেখা হয়েছিল মারিয়া নামটি। তা থেকে পরবর্তীতে মারি নামের উৎপত্তি। ভারতে অবশ্য ব্রিটিশদের হাত ধরে এই বিস্কুটের আগমন। ১৮৯২ সালে মাত্র ২৯৫ টাকা পুঁজি নিয়ে তৈরি হয় এই প্রতিষ্ঠান। অনেকে ভাবেন বাঙালিকে তুষ্ট করতেই এদেশে মারির আগমন এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সৈনিকদের বিস্কুট সরবরাহ করা। সেই তালিকায় ছিল মারিও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ স্বাধীনতা পেরিয়ে আজও বাঙালির ছাঁয়ের নিত্য সঙ্গী মারি বিস্কুট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম