।। প্রথম কলকাতা ।।
Child Care: শিশুরা সচেতন (Conscious) কিংবা অবচেতনভাবে (ubconscious) মিথ্যা কথা বলে থাকে। শিশুরা সব সময় যে সত্যি কথা বলবে এমনটা নাও হতে পারে। আসলে তাদের মধ্যে সেভাবে নৈতিক বোধ গড়ে ওঠে না। কোন কাজ করা উচিত আর কোন কাজ করা উচিত নয়, এই ঠিক ভুলের ধারণা গড়ে উঠতে একটা বয়স পর্যন্ত সময় লাগে। সেই বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত আপনি কখনোই শিশুকে ঠিক ভুলের গণ্ডিতে বিচার করতে পারেন না। তবে মিথ্যা বলার অভ্যাসও খারাপ, আর এই অভ্যাস থেকে শিশুকে বাঁচাতে একজন মায়ের দায়িত্ব ঠিক কতটা? শিশু সে মিথ্যা কথা বলছে আপনি বুঝবেন কীভাবে? এই প্রতিবেদনেই রইল সব প্রশ্নের উত্তর।
শিশু মিথ্যা বলছে মানে তাকে ধমকানো (Snubbing) বা গায়ে হাত তোলা একেবারেই চলবে না। সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে হবে পারে। শিশু কেন মিথ্যে কথা বলছে সেই কারণটি আগে আপনাকে খুঁজে বার করতে হবে। হয়তো সে শুধু বাবা-মায়ের থেকে কোন কথা লুকাতে চায়। কিন্তু কেন লুকাতে চায়, এটাই বড় প্রশ্ন। সে হয়ত বাবা-মায়ের সঙ্গে সেই কথা শেয়ার করতে ভয় পাচ্ছে। ভাবছে আসল সত্যি জানতে পারলে হয়তো দ্বিগুণ বকুনি খেতে হবে। শিশুর সঙ্গে মিশতে হবে এক্কেবারে বন্ধুর মতো। যাতে সে তার সমস্ত কথা অনায়াসে বাবা-মায়ের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে।
একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শিশুরা খেলনা নিয়ে বাজে কথা বললে তারা বেশি মিথ্যা বলে। ৪০ শতাংশ শিশু মিথ্যা স্বীকার করে। কিন্তু শিশুদের এই মিথ্যাচারের মধ্যে অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। পোল্যান্ড এবং কানাডার গবেষকরা ১৮ মাস বয়সী শিশুদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর দিয়েছেন। গবেষকরা ১৮ মাস বয়সে শিশুদের খেলনা না দেখতে বলে তাদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা করেছেন। শুধুমাত্র ৩৫ শতাংশ শিশু দেখা না দেওয়ার অনুরোধ অমান্য করেছে, কিন্তু ২৭ শতাংশ মিথ্যা দাবি করেছে যে তারা যেমন বলা হয়েছিল তেমন করেছে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের শেখানো হয় যে মিথ্যা বলা ভুল। কিন্তু কিছু সামাজিক প্রেক্ষাপটেও শিশুদের মিথ্যা বলতে উৎসাহিত করা হয়। অনেক বাবা-মা স্পষ্টভাবে তাদের সন্তানদের সৎ এবং মিথ্যা বলার প্রতি সহনশীল হওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
শিশুদের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা তৈরি হয় তিনটি কারণে
এক, সত্য বলার প্রবণতা কাটিয়ে উঠতে তাদের যথেষ্ট আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। মনোবিজ্ঞানে একে বলা হয় ইনহিবিটরি কন্ট্রোল।
দুই, তাদের স্বল্পমেয়াদী মেমরি অ্যাক্সেস করার পাশাপাশি বিকল্প পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
তিন, বাচ্চাদের সত্য অনুসারে আচরণ করা এবং তারা যে মিথ্যা তৈরি করছে সেই অনুসারে আচরণ করার মধ্যে পরিবর্তন করতে সক্ষম হওয়া দরকার।
প্রাপ্তবয়স্কদের আচরণ শিশুদের মিথ্যা বলা বা না বলার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। যে শিশুরা অন্য ব্যক্তিকে সত্য বলার জন্য পুরস্কৃত বা মিথ্যা বলার জন্য শাস্তি পেতে দেখে তাদের সত্য বলার সম্ভাবনা বেশি। একইভাবে যে শিশুরা ভুল করার জন্য পুরস্কৃত হতে দেখে, তাদের সত্য বলার সম্ভাবনা কম।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম