।। প্রথম কলকাতা ।।
মাত্র ৩০ সেকেন্ড, ১০ টা দেশকে ডেস্ট্রয় করবে পুতিনের সাইলো? শত্রুকে পাল্টা হামলার সুযোগ দেবেনা। সত্যিই কি রাশিয়ার মাটিতে লুকোনো আছে এই রোবটিক মিসাইল সিস্টেম? অটোমেটিক হাত-পা বেরিয়ে আসে? কি ফিট করা হলো এর গায়ে? কী এমন এলো রাশিয়ান রকেট ফোর্সের হাতে? এবার রাশিয়ার রেঞ্জে গোটা বিশ্ব?ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র ভয় থরথর করে কাঁপছে। কেন এই মিসাইলকে গোটা দুনিয়া থেকে লুকিয়ে রেখেছে রাশিয়া?মুখোশ খুললেন পুতিন, সাইলোর ক্ষমতা জানলে শঙ্কায় কাঁপবে পৃথিবী। রাশিয়ার মোস্ট সিক্রেট প্ল্যান, কনফিডেন্সিয়াল। যে মিসাইল নিয়ে চারিদিকে এতো হইচই তার রেঞ্জ সম্পর্কে আপনার কোনো ধারনা নেই।রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি মিসাইল সাইলোতে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল ফিট করে দিয়েছে।
লঞ্চ সাইলোতে ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত করার অর্থ হচ্ছে তা যে কোনো মুহূর্তে ছোঁড়া হবে। কিন্তু কোন শত্রু দেশের উপর অ্যাটাক করবেন পুতিন? জানেন এই খতরনাক অস্ত্র কে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে রাশিয়া? এই সুপার উইপন রয়েছে রাশিয়ার মাটিতেই।কাজাখস্তানের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার ওরেনবুর্গ প্রদেশের একটি স্থাপনায় অ্যাভানগার্ড হাইপারসনিক বুস্ট-গ্লাইড ভেহিকেলে সজ্জিত এই ক্ষেপণাস্ত্র একদম রেডি অবস্থায় রয়েছে। হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল এমন এক ধরনের ওয়ারহেড, যেগুলো বিভিন্ন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। এই ভেহিকলগুলোকে ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয় মূলত উৎক্ষেপণের পর ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতিপথ ইচ্ছামতো কন্ট্রোল করার লক্ষ্যে। প্রাথমিকভাবে এসব গ্লাইড ভেহিকল ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে উৎক্ষেপিত হয়। পরে তার টার্গেটের কাছাকাছি যাওয়ার সাথে সাথে অ্যাভানগার্ড গ্লাইড ভেহিকলটা রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায়। শব্দের চেয়ে ২৭ গণ গতিতে লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটে যায়। এই সময় ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ২১ হাজার মাইল বা ৩৪ হাজার কিলোমিটার। স্পিডটা কিন্তু মারাত্মক।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, কৌশলগত এই ক্ষেপণাস্ত্রকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা অসম্ভব। এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৯ সালে রাশিয়া প্রথমবার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে আভাগাঁর্দ গ্লাইড ভেহিকল ফিট করেছিল।
সেই সময় পুতিন জানিয়েছিলেন, এই আভাগাঁর্দ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রজন্মের অস্ত্র ও মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পাল্টা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
এবার আরও একবার রাশিয়ান রকেট ফোর্সের হাতে এলো সেই পাওয়ার। মনে করিয়ে দিই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ভেঙ্গে বেরিয়ে গেছে রাশিয়া। রাশিয়ার পর ইউরোপে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে সরে গেছে ন্যাটো। তাতেই নতুন করে সংঘাতের সংজ্ঞা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক খতরনাক বোমা বানিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে রাশিয়াকে টক্কর দিতে তারা তৈরি। তাহলে কি সাইলো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশেষ কোনো মেসেজ দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন? তাহলে কি নিউক্লিয়ার যুদ্ধের চান্স বাড়ছে? কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া? শীত ঘুম ভেঙ্গে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে? এই পরিস্থিতি গোটা বিশ্বকে একটা নতুন হুমকির সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে যখন তখন মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম