।। প্রথম কলকাতা ।।
Earthquake: সাম্প্রতিক সময় গোটা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসে ভূমিকম্পের (Earthquake) ঘটনা। তুরস্ক (Turkey), সিরিয়ার (Syria) ভূমিকম্প গোটা বিশ্বকে দেখিয়েছে তার মৃত্যু লীলা কতটা ভয়াবহ হতে পারে। ভূমিকম্পের জেরে এই দুই দেশের যতটা ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা আদৌ সম্ভব কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিছুদিন আগেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইকুয়েডর। যেখানে কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। গুঁড়িয়ে গিয়েছে প্রচুর বাড়ি। ২১শে মার্চ, মঙ্গলবার (Tuesday) ভূমিকম্পে পাকিস্তানে (Pakistan) অন্তত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের সংখ্যা। আফগানিস্তানে (Afghanistan) এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থাকলেও তার প্রভাব পড়েছে ভারতের (India) দিল্লিসহ বহু এলাকায়। সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লি (Delhi) থেকে বারংবার ভূমিকম্পের কথা উঠে এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, ঘনঘন ভূমিকম্প কি নতুন কোন বিপদের সংকেত দিচ্ছে?
সম্প্রতি দিল্লিতে একাধিকবার ভূমিকম্প দেখা দিয়েছে। জোশীমঠে যখন একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়, তখন থেকেই তৈরি হয় উদ্বেগ। উত্তরাখণ্ড ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা সবার জানা, কিন্তু এই ধরনের ফাটল এর আগে দেখা যায়নি। ক্রমশ ধসে যাচ্ছে জোশীমঠের বিস্তীর্ণ অংশ। গত কয়েক বছরে দিল্লি এবং তার সংলগ্ন এলাকায় একাধিকবার ভূকম্পন হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছে ভূগর্ভের প্লেট পরিবর্তন। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ভূগর্ভের উষ্ণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে তপ্ত হয়ে উঠছে সমুদ্রের জল। সমুদ্রের তাপমাত্রা আগে থেকে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গলতে শুরু করেছে হিমবাহ। বিশেষ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে আন্টার্কটিকাতে। এর ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে জলবায়ু পরিবর্তনে। দেখা দিচ্ছে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্টান্ডার্স ভূমিকম্পের ভিত্তিতে গোটা দেশকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে ভারতের প্রায় ৫৯ শতাংশ অংশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার অবস্থান করছে। যার মধ্যে পঞ্চম জোন অত্যন্ত বিপ্পজনক এবং সক্রিয়। এই পঞ্চম জোনের মধ্যে যে রাজ্য বা অঞ্চলগুলি রয়েছে সেখানে ভূমিকম্প ও ধ্বংসের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। যার মধ্যে রয়েছে দেশের মোট প্লটের প্রায় ১১%। চতুর্থ জোনে রয়েছে প্রায় ১৮%। তৃতীয় এবং দ্বিতীয় জোনে রয়েছে ৩০%। পাঁচটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের মধ্যে দিল্লী রয়েছে চতুর্থ সর্বোচ্চ অঞ্চলের মধ্যে। এখানে ৭.৯ তীব্রতা পর্যন্ত ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ভারতীয় উপমহাদেশের ঘনঘন ভূমিকম্প একেবারেই নতুন নয়। টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে বারংবার ভূমিকম্প দেখা যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম