৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷
Bengal Weather: বাংলাজুড়ে এবছর এত গরম কেন? অসুস্থ হয়ে যাওয়ার মতো ওয়েদার৷ আপনার বাড়িতে থাকা একটা জিনিসই গরম বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ এপ্রিলেই এ অবস্থা হলে জুন-জুলাইয়ে তো শিরে সংক্রান্তি৷ গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দোহাই দিলেই হবে নাকি শুধু? শুধু বাংলা নয় এবার গরমের কবলে পূর্ব ভারত সামনেই ঘূর্ণিঝড়ের আভাস! এমন ভয়ঙ্কর গরম কতদিন থাকবে? মাথা, ত্বক, চুল, চোখ, হার্ট এবারের শুকনো এই গরমে আপনার কোন কোন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে?
কলকাতা, বর্ধমান, ২৪ পরগনাকে ছাড়িয়ে এবার সবথেকে বেশি তাপমাত্রা পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে৷ জ্বালা ধরানো এই গরমের জন্য শুধু আবহাওয়াই দায়ী নয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে গরম হাওয়া শহরের মাঝে আটকে দিচ্ছে বড় বড় বাড়ি, ধাতব টাওয়ার, শপিং মল৷ সোজা কথায় গাছ কেটে হু হু করে নগরোন্নয়নই সর্বনাশের কারণ৷ এবার ঠেলা বুঝুন৷ সবুজ প্রকৃতির জায়গায় চুন-সুড়কি-ধাতুর নগরোন্নয়ন ঘটছে৷ ইট-পাথরের জঙ্গলে আটকে পড়ছে গরম৷ ১৯৮১ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত গ্রীষ্মকালে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি আবহাওয়াকে স্বাভাবিক ধরা হত৷ কিন্তু গত কয়েকটা বছরে উত্তর ও পূর্ব ভারতে৷ তা ৫ থেকে ১০ ডিগ্রি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে৷ আগামী কয়েক বছরেও যদি উষ্ণায়ণকে রোখা না যায়, তাহলে ভোগার জন্য রেডি হয়ে যান৷
আবহাওয়াবিদরা জ্বালাধরা গরমের জন্য দায়ী করছেন, বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয়ের অনুপস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের উপরে থাকা নিম্নচাপ বলয়ের দুর্বলতাকে৷ এসব শুনে মাথা চুলকাবেন না৷ বুঝিয়ে বলছি৷ আবহাওয়াবিদদের দাবি, এবার উত্তর ভারতে ঘন ঘন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আছড়ে পড়ছে৷ তার গতিপথেও কিছুটা বদল ঘটেছে৷ সাধারণত, পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝঞ্ঝা৷ এ বার উত্তর ভারতের সমতলের দিকে নেমে এসেছে৷ যার প্রভাবে গুজরাত ও মধ্য ভারতে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে৷ এই দু’য়েরই প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়ছে পূর্ব ভারতের আবহাওয়ায়৷
পরিবেশবিদরা বলছে, আগে কাঠ বা ইটের বাড়ি হত৷ এখন প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে তত বেশি ধাতুর ব্যবহার হচ্ছে৷ অ্যালুমিনিয়াম জাতীয় ধাতুর ব্যবহার এখন বেশি
যা দীর্ঘ সময় তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে৷ ফলে পরিবেশ শীতল হওয়ার সময়ই পাচ্ছে না তাই গরম বাড়ছে৷ তাই এবার বলতেই হচ্ছে গ্রীষ্মকালে আবার গান ধরা দরকার ভীষ্মলোচন শর্মার! যাঁর আওয়াজখানা হানা দেবে বাংলা থেকে সোজা বরুণদেবের দরবারে। কী গান? ‘আল্লা ম্যাঘ দে পানি দে’!
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম