।। সুচিত্রা রায় চৌধুরী ।।
India NATO: বড় অফার পেয়ে গেল ভারত৷ ভারত ন্যাটোর সদস্য হতে পারে কিছুদিনের মধ্যেই! কতটা সত্যি এই খবর? রাশিয়ার সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতার শেষে এভাবে বদলা? ভারত বাঁকা পথে হাঁটছে, সত্যিটা আসলে কী? আচমকা ভারতকে নিয়ে কেন এত বাড়াবাড়ি কেন ন্যাটোর? ভারত এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ঠিকই কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত একেবারেই আগ্রহী নয় ন্যাটোয় যোগ দিতে৷ কেন? ন্যাটোতে ভারত যোগ দিলে চিনের অবস্থা টাইট হবে অনেকেই বলছে৷ তাহলে যোগ দিতে বাধা কোথায়? ন্যাটো সন্ধির আর্টিকাল ৫ -ই পরিস্কার করে গিচ্ছে আসল হিসেব৷
অনেকের দাবি, চিনকে পর্যুদস্ত করতে এটা নাকি আমেরিকা ও তার পশ্চিমা টিমের নয়া প্ল্যান৷ এটা সত্যি নয় বলছেন কূটনৈতিক মহল৷ ন্যাটো আসলে ভারতকে কী প্রস্তাব দিয়েছে ভাবতে পারবেন না৷ তাহলে কেন ভুল খবর ছড়ানো হচ্ছে৷ খবরটা ভুল নয় ব্যাখ্যা ভুল করা হচ্ছে৷ এখন রাশিয়ার সীমান্তে থাকা ফিনল্যান্ড ন্যাটোরই সদস্য৷ জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া৷ এই পাঁচটা দেশ রয়েছে ন্যাটো প্লাস ফাইভ জোটে৷ আর বিশেষ এই জোটে থাকলে বা ঢুকতে পারলে প্রতিরক্ষা বা ডিফেন্স ডিলগুলো হয়ে যায় অনেক বেশি তাড়াতাড়ি৷ কিন্তু ভারত কোথায় স্থান পাবে?
একটি সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আসল কথা জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংসদ রো খান্না৷ তিনি বলছেন এই ন্যাটো প্লাস ফাইভের জোটটাতে ভারতকে রাখতে চাইছে ন্যাটো৷ রো খান্না জানিয়েছিলেন, “চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে”৷ ভারতের এতে আগ্রহী না হওয়ার কারণ কূটনৈতিক মহলের মতে রাশিয়া৷ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থারাপ করার কোনও রিস্ক ভারত নেবে না ভারত ন্যাটো প্লাস দেশ হলে এটাই হবে সবথেকে বড় কুপ্রভাব৷ মস্কো তাদের সম্প্রতি বিদেশনীতিতে জানিয়েছে যদি ভারত তাদের শত্রুদের সঙ্গে হাত মেলায় তাহলে ক্রেমলিন তার তীব্র প্রতিরোধ করবে৷
ভারতের এত বড় সিদ্ধান্তের মূলে একমাত্র রাশিয়াই হতে পারে না৷ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ন্যাটো প্লাস ফাইভের সদস্য হলে ভারতের ডিফেন্স ডিলে বিশেষ কোনও লাভ হবে না৷ ভারতের কাছে অলরেডি পারমাণবিক শক্তি, মিশাইল, মজবুত ফোর্স রয়েছে দাঁড়িয়ে যান৷ আসল পয়েন্ট এখনও বাকি৷ ন্যাটোর আর্টিক্যাল ফাইভ বলছে, ন্যাটোর সদস্যদের কোনও একটা দেশের ওপর হামলা হলে বাকী সব দেশের ওপর সেটাকে হামলা বলে ধরে নেওয়া হবে৷ এর মানে সেক্ষেত্রে কোনও যুদ্ধ হলে সব দেশকেই ভাগ নিয়ে হবে যুদ্ধে৷ ভারত গায়ে পড়ে কোনও যুদ্ধ চায় না রাশিয়া থেকে তেল বা অস্ত্র কিনছে ভারত। তা সত্ত্বেও ভারতের বিরোধিতা করছে না আমেরিকা৷ কিন্তু সমঝে বুঝেই বিদেশনীতির প্রত্যেকটা ধাপে এগোচ্ছে ভারত৷ জেনে বুঝে এক্সট্রা চাপ এমূহুর্তে ভারত নেবে না তা স্পষ্ট৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম