।। প্রথম কলকাতা ।।
মধ্যবিত্তের হেঁসেলে চিন্তা বাড়াচ্ছে আলুর দাম। এমনিতেই অগ্নিমূল্যে চলছে সবজির বাজার। এবার এক সপ্তাহে আলুর দাম বাড়ল অনেকটাই। আলুর ঊর্ধ্বমুখী দাম কোথায় গিয়ে থামবে তা নিয়ে চরম জল্পনা দানা বেঁধেছে ব্যবসায়ী মহলে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই আলুর দাম বাড়ছে বলে মত বিক্রেতাদের। বাজারে অগ্নিমূল্যের জেরে এখন নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা হয়েছে সাধারণ মধ্যবিত্তের। বেশিরভাগ সবজির দামই আকাশছোঁয়া। তাই আলু দিয়ে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অনেকেই। এখন সেই আলু সিদ্ধ ভাতও মহার্ঘ হয়ে উঠছে।
সপ্তাহের শুরুতেই আলুর দাম বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত। বিশেষ করে চন্দ্রমুখী আলুর দাম আকাশ ছোঁয়া। স্থানীয় বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে চন্দ্রমুখী আলুর কেজি প্রতি দাম। শহর ও শহরতলিতে এই আলু বিকোচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। জ্যোতি আলুর দামও ২৪ টাকার কাছাকাছি। এবার দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া ছিল অনুকূল।তাই জমিতে আলু নষ্ট হওয়ার ব্যাপার ছিল না। ফলন হয়েছে ভালোই। তারপরও হঠাৎ করে আলুর দাম এতো বাড়ল কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগস্ট মাসের শুরু থেকেই সবজির দাম বাড়ছিল। দ্বিতীয় সপ্তাহে তা বেড়ে চরমে ওঠে।
টম্যাটোর দাম আকাশ ছুঁয়েছে আগেই। লঙ্কা–ধনেপাতার দামে চোখে জল আসছে। এই আবহে ঠেকনা দেওয়া হচ্ছিল আলু–পেয়াঁজ দিয়ে। মধ্যবিত্তের সেই হেঁশেলে আবার বেদম ছ্যাঁকা লাগল। চিকেনের দাম কমলেও আনাজের দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহর এবং গ্রামবাংলায় মাছের দাম চড়া ছিলই। এখন সেখানে সংযোজন হয়েছে আলুর দামও।
বাঙালিরা প্রায় সব তরকারি আলু দিয়ে রান্না করে। তার দাম বেড়ে গেলে হেঁশেলে ছ্যাঁকা তো লাগবেই। আলুর সঙ্গে দাম বেড়েছে পটলেরও। প্রতি কেজি পটল ৫০–৬০ টাকায় বিকোচ্ছে। আবার বেড়েছে আদার দাম। কেজি প্রতি আদা এখন ৩০০ টাকা দামে কিনতে হচ্ছে। বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কুমড়োর দাম ৪০ টাকায় এক কেজি। এসবের সঙ্গে রয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম ১১৩০ টাকা। আলুর দাম বেড়ে যাওয়া বাঙালির কাছে খুবই চিন্তার ব্যাপার। অন্য সবজি না থাকলেও আলু দিয়ে দিন কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু সেই আলুর দাম যা বেড়েছে তাতে তা ছাড়াই এখন রান্নার কথা ভাবছেন মধ্যবিত্ত মানুষজন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম