।। প্রথম কলকাতা ।।
জি২০ সাকসেস হওয়ার ক্রেডিট কাকে দিলেন মোদী? নমোর মুখে জওহরলাল নেহেরুর সুনাম কী ঘটে গেল সংসদে? ভারতের যোগ্যতা আর ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ মিটল দুনিয়ায়। জি২০ শেষে ঠিক কোন তিন শব্দ বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী? ‘স্বস্তি অস্তু বিশ্বে’ তিনটে শব্দ একটা বাক্য। যার অর্থ হল শান্তি আসুক বিশ্বে। জি২০র শেষে ঠিক এটাই বের হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে। ভারতের একের পর এক শত্রুর জি২০তে মোদীকে অস্বস্তিতে ফেলার প্রচেষ্টা নাকাম করেছে দেশ। জি২০ সাফল্য নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক সুনাম কিন্তু এর বড় সাকসেসের নেপথ্যে কে? সংসদের বিশেষ অধিবেশন সেই নামটা উল্লেখ করেই দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
কূটনৈতিক মহল এখন বুক ঠুকে এটা দাবি করতে পারেন ভারতের কূটনীতি এখন আর ঠান্ডাঘরে সীমাবদ্ধ নয়। জি২০ মতও একটা সম্মেলনের আয়োজন ও তাঁর সফলতা। এটা প্রমাণ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের চিন্তাভাবনা কতটা ম্যাটার করছে। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর তো স্পষ্টই বলে দেন আগামী দিনে দেশের বিদেশনীতিকে আরও শক্তিশালী করার একটি পদক্ষেপ হল জি২০। ইতিমধ্যেই ভারতের কূটনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। জি২০র পর অনেকেই ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করছেন নরেন্দ্র মোদীকে। এবার নমোর মুখে শোনা গেল নেহেরুর স্তুতি। নেহেরুর কোন কথা উদ্ধুদ্ধ করছে তাঁকে পরিস্কার জানালেন নমো। তাঁর আগে আপনাদের জানাব জি২০ সাফল্যের ক্রেডিট কাকে দিলেন মোদী।
নমো সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমাদের G20 সভাপতিত্বের সাফল্য ভারতের সাফল্য। এটি কোন ব্যক্তি বা দলের সাফল্য নয়। দিল্লি ঘোষণা পাস করা অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল কিন্তু আমরা সফলভাবে তা করে দেখিয়েছি এটি সবার জন্য গর্বের বিষয়। আজ, ভারত বৈশ্বিক স্তরে স্বীকৃত, আমাদের সংস্কৃতি এবং বেদ থেকে বিবেকানন্দ পর্যন্ত আমাদের যা কিছু আছে তার কারণে,” এর মানে স্পেসিফিক করে পরিস্কার করে দেওয়া হল এটা বিজেপি বা কোনও রাজনৈতিক দলের সাফল্য নয় এটা দেশের সাকসেস। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন শোনা যাচ্ছে এই ‘কৃতিত্ব’কে কাজে লাগিয়েই নাকি ভারতের জাতীয় নির্বাচনে ফায়দা তুলবে বিজেপি। অথচ জি-২০ বৈঠক একটি নিয়মিত আন্তর্জাতিক বৈঠক এক এক বার এক এক দেশ তার দায়িত্ব পায়।
এক্ষেত্রে এটাও বলতে হয় জি২০’র প্রেসিডেন্ট পদটি ব্যবহার করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে আন্তর্জাতিক ‘ইমেজ’ তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন সেই লক্ষ্যে এক অর্থে তিনি সফল। বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারাও সম্মেলনের পরে তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এদিন উঠে আসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ‘অ্যাট দ্য স্ট্রোক অফ মিডনাইট’ ভাষণ। নমো বলেন সে ভাষণ এখনও আমাদের কানে বাজে। ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশ মুক্তি আন্দোলনে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত থেকে মনমোহন সিংয়ের অশক্ত শরীরে হুইলচেয়ারে সংসদে আসার মুহূর্ত পর্যন্ত সবটাই শোনা যায় নমোর ভাষণে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এদিন বিরোধীদের ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে কটাক্ষ করলেও কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীদের দরাজ প্রশংসা করতেও শোনা গেল নমোকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম