।। প্রথম কলকাতা ।।
Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় কালপ্রিট কারা? প্রকাশ্যে আসছে কবচের কোনও ভূমিকাই ছিল না এই দুর্ঘটনায়। কি বলতে গিয়ে আটকে গেলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈঞ্চব? চালক চাইলেই আটকাতে পারতেন দুর্ঘটনা। নাকি পুরোটাই সাবোটাজ। অতি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল ইন্টারলকিং সিস্টেম? নজর সেখানেই। শুধু মাত্র একটা রিপোর্ট, সিআরএস রিপোর্ট, তারপরই সব জলের মতো পরিস্কার হয়ে যাবে সবটা। পয়েন্টের গোলমালে লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ব্রেক কষেও কি দাঁড়ায়নি ট্রেন? ভারতের একটা ভয়াবহ দুর্ঘটনা আর এদিকে জো বাইডেন থেকে শুরু করে শি জিনপিং, পুতিন সকলের একের এক প্রতিক্রিয়া। একই লাইনে দুটো ট্রেন এল কীভাবে? উত্তর স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
গাফিলতি অনেক বড় স্বীকার করে নিলেন রেলমন্ত্রী৷ পরিণতি একটা ভয়ঙ্কর। পরিস্কার বলে দিলেন কারা এর নেপথ্যে তা জানা গিয়েছে। কিন্তু তারা কে? নেপথ্যে কতবড় পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত? রেলসূত্রে খবর যে ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে প্যানেল ইন্টারলকিং বা রুট রিলে ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু রেলকর্তারাদের দাবি এই ব্যবস্থায় কারোর হাত না পড়লে কিছুতেই যন্ত্রের ভুল হওয়া সম্ভব নয়। কী এই প্যানেল ইন্টারলকিং ব্যবস্থা৷ বিমানের ব্ল্যাক বক্সের কথা শুনেছেন ট্রেনে ডেটা -লগার বক্স থাকে। অনেক রহস্যের সমাধান হওয়া বাকি এখনও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। শুনুন এই প্রথম কোনও ট্রেন দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইছে রেল। এবার কেন্দ্র সেই অনুমতি দেবে কিনা সেটাই এখন দেখার।
প্রথমেই বুঝে নিন, রেলের দাবি করমণ্ডলের দুর্ঘটনা যেহেতু সিগন্যাল এবং পয়েন্ট সংক্রান্ত তাই এখানে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের ভূমিকা নেই। তাদের যুক্তি, ওই যন্ত্র মূলত সিগন্যাল দেখে কাজ করে, পয়েন্ট দেখে নয়। একই যুক্তি খাটে ‘কবচ’-এর ক্ষেত্রেও। ট্রেন সিগন্যাল এড়ালে তা এই যন্ত্রে ধরা পড়ে। পয়েন্টের অভিমুখ বদল নয়। রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট বলা হয়েছে, সিগনাল নয় পয়েন্টের গোলমালেই লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ধাক্কা মারে সেই লাইনেই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে। রেল সূত্রের খবর, যে সব স্টেশনে একাধিক লাইন এবং পয়েন্ট ট্রেনের লাইন বদলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে ট্রেন চলাচলে দুর্ঘটনা এড়াতে প্যানেল ইন্টারলকিং অথবা রুট রিলে সিস্টেম লাগে। বাহানাগা বাজার স্টেশনেও ছিল ইন্টারলকিং ব্যবস্থা। যার প্রধান উদ্দেশ্য, পয়েন্ট এবং সিগন্যালের মধ্যে নিশ্ছিদ্র সমন্বয় তৈরি করা। যাতে একটি ট্রেন স্টেশনের নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম বা নির্দিষ্ট লাইন দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে কোনও ভাবেই সেই লাইনে অন্য ট্রেন এসে না পড়ে। ওই ট্রেনের জন্য পথ এক বার নির্দিষ্ট হয়ে গেলে সেই অনুযায়ী পয়েন্টের সজ্জা তৈরি হয়ে যায়।
মনে রাখবেন, সবটাই বৈদ্যুতিন ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রিত। পয়েন্টের ঠিক জায়গায় চলে আসা নিশ্চিত হলে তবেই অনুকূল সিগন্যাল হয়। ট্রেন ঢোকার জন্য লাইন পুরোপুরি তৈরি থাকলে প্যানেল বোর্ডে ওই লাইনকে তখন হলুদ রেখার মতো দেখতে লাগে। ওই লাইন দিয়ে ট্রেন ঢুকে নির্দিষ্ট পয়েন্ট পেরোতে শুরু করলে ওই রেখাটি লাল হতে শুরু করে। পয়েন্ট সেট করার সময়ে যদি কোনও গোলমাল থাকে ওই অংশের পয়েন্টের সঙ্কেত প্যানেল রুমে দপ দপ করবে এবং পুরো পথ লাল হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে লুপ লাইনের দিকে পয়েন্ট সেট হয়ে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে মেন লাইনের সিগন্যাল সবুজ হয়ে গেল? স্টেশন মাস্টারের প্যানেলে কি তা ধরা পড়ল না?
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈঞ্চব পরিস্কার জানিয়েছে, অপেক্ষা এখন কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির রিপোর্টের। ছবিটা একেবারে স্পষ্ট হয়ে যাবে সিআরএস রিপোর্ট এলেই। এদিকে জানা যাচ্ছে, সিগনালিং ব্যবস্থার গন্ডগোলের যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন ম্যানেজার হরিশঙ্কর বর্মা নাকি চার মাস আগেই সতর্ক করেছিলেন। অভিযোগ সেই কথা নাকি কানেই তোলেনি রেল। তাহলে কি সত্যি যন্ত্রেরই সমস্যা নাকি নেপথ্যে বড়সড় চক্রান্ত? উত্তর খুঁড়ছে গোটা দেশ৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম