।। প্রথম কলকাতা ।।
Cooking Oil: ভারতীয় রান্নার একটা অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হল। তেল বেশি ঝাল মশলা এবং তেল (Oil) দিয়ে রান্না না করলে অনেকের মুখের রোচে না সেই খাবার। যদিও এর প্রভাব শরীরের উপর যথেষ্ট পড়ে। চিকিৎসকরা বহু রোগীকেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন অতিরিক্ত তেল না খাওয়ার জন্য। কিন্তু চিকিৎসকের সেই নিষেধাজ্ঞা কজন শোনেন, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অতিরিক্ত তেল না সেবন করার নেপথ্যে যে কারণ রয়েছে তা হল কোলেস্টেরল (Cholesterol)। আসলে যে তেলের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট অতিরিক্ত মাত্রায় থাকে সেই তেল নিয়মিত সেবন করলে তাঁর রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
এটা সোজা গিয়ে খারাপ প্রভাব ফেলে আপনার হার্টে। তাই রান্নায় কোন তেল ব্যবহার করছেন, সেই তেলের পুষ্টিগুণ কী, সেই তেলের ক্ষতিকারক প্রভাব কী এই সম্পর্কে আগেভাগে জেনে রাখা ভালো। ভারতীয়দের মধ্যে রান্নায় বেশিরভাগই সর্ষের তেলের ব্যবহার প্রচলিত। কিন্তু বর্তমানে সেই জায়গা করে নিচ্ছে পরিশোধিত বা রিফাইন তেল। আদৌ কী রিফাইন তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাকি সর্ষের তেল থেকে উপকার মেলে বেশি। যারা অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল অথবা উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করে থাকেন রান্নায় তাদের শরীরে কোন বিষ ঢুকছে তো! এই সকল প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজকের প্রতিবেদনে।
* সরষের তেল (Mustard Oil): মূলত সরষের বীজকে পিষে তার নির্যাস থেকে গাঢ় হলুদ রঙের এই সর্ষের তেলটি তৈরি করা হয়। তার একটি ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে। এই সরষের তেলের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফাটি অ্যাসিড। এইগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ভালো। সর্ষের তেলে উপস্থিতি রয়েছে ভিটামিন ই এর। এটি ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে। আর সর্ষের তেল থেকে যে উষ্ণতা তৈরি হয় তার সর্দি কাশি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
* উদ্ভিজ্জ তেল (vegetable oil): এই তেল গুলি পরিশোধিত হয় না। কারণ বিভিন্ন ধরনের ফল, বাদাম, বীজ থেকে এই তেল বের করা হয়। আর প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে তারপর এটিকে ভোজ্য তেলে পরিণত করা হয়। তাই যে উদ্ভিজ্জ তেলই আপনি ব্যবহার করুন না কেন তাতে কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে।
* নারকেল তেল ও অলিভ তেল: নারকেল তেলের (Coconut Oil) মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বিপাকে সাহায্য করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং ফ্যাট হ্রাস করতে পারে। সেটি হল মিডিয়ান চেইন ট্রাই গ্লিসারাইড। অন্যদিকে অলিভ অয়েলের মধ্যে মনোস্যাচুয়েটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে কিছুটা বেশি পরিমাণে। এই কারণে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অলিভ অয়েল (Olive Oil) থেকে পাওয়া যায় ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটা কিন্তু হৃদরোগের সমস্যা বাড়াতে পারে। নারকেল তেলেও শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অর্থাৎ কোন একটি নির্দিষ্ট তেল যে প্রত্যেকটি মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো হবে এমনটা কিন্তু নয় । সেই তেলে কী উপাদান রয়েছে, তা থেকে কী কী পুষ্টিগুণ মানুষের শরীরে পৌঁছাবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে সেই সব দিক বিবেচনা করে তবেই রান্নায় নির্দিষ্ট তেল ব্যবহার করা উচিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম