।। প্রথম কলকাতা ।।
এসেই গেল শীত, ময়েশ্চারাইজার ত্বকের বাইরের স্তরে আদ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে আমরা এতদিনে সকলেই জেনে গেছি। যাদের তৈলাক্ত ত্বক ময়েশ্চারাইজার মুখে লাগাতে ভয় পান তারা কি করবেন?তৈলাক্ত ত্বকে মশ্চারাইজার ব্যবহারের কি প্রয়োজন অনেকে আবার এমনটাও মনে করেন। পার্টি বিয়ে বাড়িতে যদি সকলে আপনার ত্বকের জন্য প্রশংসা করেন তাহলে কার না ভালো লাগে বলুন? ত্বক কে ঝকঝকে ঝলমলে রাখতে সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে পাশের বাড়ির কন্যা সকলেই মরিয়া কিন্তু যাদের ত্বক প্রাকৃতিক ভাবেই চকচকে তারাই জানেন তারা কি সমস্যার মধ্যে পরেন। মানে কথা হচ্ছে ওয়েলি বা তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে মুখে কি মাখবেন আর কি মাখবেন না তা নিয়ে দারুণ দ্বন্দ্বে থাকেন তারা। এমনকি শীতকালে মুখে ময়েশ্চারাইজার মাখবেন কিনা তা নিয়েও দ্বিধায় থাকেন তারা।
ক্লিনজিনে এক ঘন্টা পর থেকেই মুখের ত্বক তেলতেলে হয়ে যায়। বিশেষ করে মুখে টি জোন এলাকাগুলি সবচেয়ে বেশি তৈলাক্ত হয়। অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদনের ফলে মুখের ত্বক থেকে তেল এবং ব্রণ বের হয়। মনে রাখতে ময়েশ্চারাইজার বাইরের স্তরে জল ধরে রাখতে সহায়তা করে। শীতে তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত? অনেকেরই ধারণা, অয়েলি স্কিনে যেহেতু তেল নিঃসরণ হয় তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই এই ধারণাটি কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। অয়েল আর মশ্চারাইজার দুটো ভিন্ন জিনিস ত্বকের ওয়াটার লেভেল বা হাইডরেশন ঠিক রাখতে মশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। ময়েশ্চারাইজার এর আরেকটি কাজ হচ্ছে ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল ব্যালেন্স করা। তাই অয়েলি স্কিনে ময়েশ্চারাইজার এপ্লাই করা কিন্তু মাস্ট, কিন্তু কিরকম ময়েশ্চারাইজার শীতে ব্যবহার করবেন তা জানাবো আমরা।
জেনে রাখুন তৈলাক্ত ত্বকের মূল সমস্যা হল সিবাম উৎপাদন। অতিরিক্ত সিবামের কারণেই ব্রণ হয়। এর অর্থ একেবারেই এই নয় যে ত্বক যথেষ্ট আদ্র। ত্বক যেহেতু প্রচুর পরিমাণ তেল উৎপাদন করে তাই ত্বকের প্রয়োজনীয় জলের অভাব হতে পারে। অন্যদিকে ত্বক থেকে এই অতিরিক্ত তেল অপসারণ এর কারণে আদ্রতা হ্রাস করার চেষ্টা করেন অনেকেই। যা আসলে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা সবসময় তেল নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সে কারণে নানান ধরনের পণ্য ব্যবহার করেন। এই ধরনের স্কিন কেয়ার দ্রব্য ত্বকে আর্দ্রতা বজায় না রেখে তেল নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। তাই তবকে হাইডরেড করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
মনে রাখতে হবে নন কমেডোজেনিস ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। যা ত্বকের ছিদ্র গুলিকে আটকে রাখবে না। এমন ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে হবে যা হালকা তেল মুক্ত এবং দ্রুত শোষিত হতে পারে। এসেনসিয়াল অয়েল যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। বরং এলোভেরা জেল গ্লিসারিন রয়েছে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়া ভালো। ত্বক যদি খুব বেশি তৈলাক্ত হয় সেক্ষেত্রে সোডিয়াম লরেথ সালফেট আছে এমন কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। এ জাতীয় রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম