।। প্রথম কলকাতা ।।
Chutki Mouth Freshener: প্রিয় দর্শক, চুটকির কথা মনে আছে? যারা ঐ নব্বইয়ের দশকে বড় হয়েছেন তাদের কাছে এই মাউথ ফ্রেশনার আলাদাই এক নস্টালজিক ব্যাপার তাই না? কিন্তু ঐ চুটকির প্যাকেটে থাকা সুন্দরী মহিলাটি কোথায়, জানতে ইচ্ছে করে না? দারুণ দেখতে ছিলেন কিন্তু মহিলাটি। জানেন এই মেয়েটি আসলে কে? তিনি কিন্তু যে সে কেউ ছিলেন না। মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে এক দাপুটে মডেলের দৌলতে চুটকি তো এত রমরমা করেছিল। কিন্তু আজকে সেই মেয়েটি কোথায়? কী করেন তিনি? কেমন আছেন? জানতে ইচ্ছে হয়না?
আসলে এই চুটকির সুপারি ‘মশলা’ মুখে পড়লেই কেমন একটা রিফ্রেশ হয়ে যেতাম। আসলে এই মেয়েটি গ্রাহকদের বেশ আকর্ষণ করত। তাহলে আজ চলুন আজ বরং একটু নস্টালজিক হওয়া যাক। জেনে নেওয়া যাক চুটকির প্যাকেটে থাকা সুন্দরী মহিলাটির কাহিনী।
নীল রঙের চুটকির প্যাকেটটা তো দেখেছেন নিশ্চয়ই। গত ৫০ বছর ধরে ভারতীয় বাজারে সমান জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে এই ব্র্যান্ড। তবে জেনে অবাক হবেন যে, এই অতি সাধারণ চুটকি কিন্তু হিট হয়েছিল এই মেয়েটির জোরেই। জানেন কী তার পরিচয়?
আসলে ছবিটা সকলেই দেখে থাকলেও অনেকেই হয়ত জানেন না যে, এই মেয়েটি আসলে একজন নামি মডেল। হয়ত আপনিও কখনও শুনে থাকবেন তার নাম। তার নাম হচ্ছে অনিতা ডামেলো। যার ডুবতে বসা কেরিয়ার গুছিয়ে দিয়েছিল ‘চুটকি’। প্রতিদানে চুটকিকেও এক ধাক্কায় সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। জানেন কীভাবে? বলছি সবটাই।
শোনা যায় একটা সময় তো চুটিয়ে মডেলিং করতেন অনিতা। ১৯৬৮ সালের মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় পার্টিসিপেটও করেছিলেন। তবে দুঃখের বিষয় হল, প্রতিযোগিতায় সেরা কুড়িতে জায়গা হয়নি তার। এরপর কেরিয়ার গোছানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন, তবে মডেলিং বা অভিনয় কোনোটাতেই বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেননি তিনি।
এরপর তো হাল প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। তবে ঐ যে কথায় আছে না, রাখে হরি তো মারে কে? ঠিক সেটাই হয়েছিল অনিতার সাথেও। হঠাৎ করেই অনিতার নড়বড়ে কেরিয়ারে হাওয়া দেয় জাস্ট একটা ‘চুটকি’। এই একটা বিজ্ঞাপনই বদলে যায় তার জীবন। সেই সাথে ‘চুটকি’ও পৌঁছে যায় ভারতীয়দের ঘরে ঘরে। খুবই সাদামাটা সেই বিজ্ঞাপন। এমন কিছু আহামরি কারিকুরি ছিলনা তাতে। তবে সেই সময় মানুষ ওটাতেই বেশ ইন্টারেস্ট পেয়েছিল। শোনা যায়, সেই সময় নাকি সুন্দরী অনিতার মুখ দেখেই চুটকি কিনতো লোকে।
যদিও সবটাই কিন্তু ভাগ্য নয়। অনিতা তার নিজের যোগ্যতাতেই চুটকির বিজ্ঞাপনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। শোনা যায় ১৯৭০ সালে চুটকি যখন প্রথম বাজারে আসে তখন বিজ্ঞাপনী মুখ খুঁজছিল সংস্থাটি। সেখানে একাধিক মডেলের মধ্যে থেকে এই বিজ্ঞাপনটি ছিনিয়ে নেন অনিতা। ব্যস, আর কী? এক অচেনা মডেল থেকে রাতারাতি বিখ্যাত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।
এরপর কেবল চুটকি কেন, আরও একাধিক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনী মুখ হয়ে ওঠেন অনিতা। হ্যাঁ, আজও তার খটমট নাম হয়ত অনেকেই জানেন না তবে মুখটা কিন্তু কমবেশি সবারই চেনা। পরে অবশ্য ভারত ছেড়ে দেন। এক ব্রাজিলিয়ান NRI-কে বিয়ে করে সেখানেই সেটল হয়ে যান। তবে এখন শোনা যায়, তিনি নাকি আর বেঁচে নেই। তবে চুটকির প্যাকেটে তার বিজ্ঞাপন কিন্তু আজও জ্বলজ্বল করছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম