।। প্রথম কলকাতা ।।
Saif-Kareena: শুধুমাত্র তৈমুরের দেখভাল করার জন্য নিতেন দেড় লক্ষ টাকা। সেই সেলিব্রেটি ন্যানি সাবিত্রীর এখন কী পরিণতি হয়েছে জানেন? মনে আছে সইফ-করিনার বাড়ির সেই ন্যানিকে? চোখে গোল চশমা, শ্যামবর্ণ, গোল মুখ মমতাময়ী চেহারার সেই সাবিত্রী আজ কোথায়? এখন কিন্তু আর তৈমুরের দেখভাল করেননা তিনি। তাই পতৌদি বাড়িতেও তার আর কাজ নেই। তাহলে কোথায় আছেন তিনি? কী হল সাবিত্রীর পরিণতি?
কেবল বেবি সিটিং করেই লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন তৈমুরের ন্যানি সাবিত্রী। একাই কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন গোটা ইন্টারনেট। আর হবে নাই বা কেন? তার মাস মাইনের অঙ্কটা যে সত্যিই চমকে দেওয়ার মতই। কে ভাবতে পেরেছিল যে, কেবল একটা বাচ্চার দেখভাল করেই মাসে দেড় লাখ টাকা কামানো যাবে? চমকে উঠলেন? আজ্ঞে হ্যাঁ, কেবলমাত্র তৈমুরের দেখভাল করার জন্যই ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিতেন ন্যানি সাবিত্রী। আজকে তার কী পরিণতি হয়েছে জানেন? এখন কোথায় রয়েছেন তিনি?
তবে সাবিত্রীর হাতে যে কেবল তৈমুরই বড় হয়েছে তা কিন্তু নয়। করিনার প্রাক্তন প্রেমিক শাহিদ কাপুরের সন্তানদের দেখভালও তিনিই করেছেন। যদিও এখন এই স্টারকিডরা অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। তাদের আর ন্যানির প্রয়োজন হয়না। আর সেই কারণেই সাবিত্রীর ডাক পড়েছে দক্ষিণে। জানেন এখন কার সন্তানের দেখভাল করছেন তিনি? কাকে কোলেপিঠে করে মানুষ করছেন সুপার ন্যানি সাবিত্রী?
মিডিয়া সূত্রে খবর, সাবিত্রী এখন কাজ করছেন দক্ষিণী তারকা রামচরণের বাড়িতে। তার একরত্তি মেয়ে ক্লিন কারা কোনিডেলার দেখভাল করার জন্যই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও আজকের দিনে তার পারিশ্রমিক কত তা জানা যায়নি। তবে সময়ের সাথে সাথে সংখ্যাটা যে বাড়বে সেকথা বলাই বাহুল্য।
আচ্ছা আপনাদের এটা জানতে ইচ্ছে করছেনা যে, সাবিত্রীকে এত টাকা দেওয়া হয় কেন? তিনি কী এমন করেন যার জন্য এত এত টাকা ডিমান্ড করেন। তাহলে বলি, সাবিত্রী কোনও যে সে ন্যানি নন। বাচ্চার ডায়পার বদলানো থেকে শুরু করে বাচ্চার ওষুধ, খাওয়া দাওয়া সবটাই বিশদে জানতে হয় তাদের। জানতে হয় অল্পবিস্তর চিকিৎসাবিদ্যাও। যাতে কখনও বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার প্রাথমিক ট্রিটমেন্টটা অন্তত সে করতে পারে। সম্পূর্ণ চাইল্ড কেয়ারে প্রশিক্ষিত হতে হয় তাদের।
আর এই সবকিছুতেই সাবিত্রী দারুণ সাবলীল। যে কারণে নাকি নিজের ওয়ার্ক আওয়ারের পর বাড়তি কাজ করলে সইফ করিনা নাকি বাড়তি পারিশ্রমিকও দিতেন তাকে। বলিউডপাড়ার গুঞ্জন, সাবিত্রীর হাতে সন্তানকে দিয়ে দিলেই নো টেনশন। এরপর আরামসে কাজেও যেতে পারেন সেলিব্রেটি মায়েরা। আর সেই কারণেই তো সাবিত্রীর এত ডিমান্ড।
জেনে অবাক হবেন যে, সাবিত্রীর মত সেলিব্রিটি ন্যানিদের কিন্তু যেখানে সেখানে পাওয়া যায়না। এর জন্য এজেন্সি রয়েছে। সেই এজেন্সি থেকেই সব বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয় তাদের। সব বিষয়ে পাশ করলে তবেই সেলিব্রেটি ক্লায়েন্টদের সাথে মিট করানো হয় তাদের। একবার কাজ পছন্দ হয়ে গেলে আর পায় কে? তখন কেবল বাচ্চাদের দেখাশোনা করেই কামানো যায় লক্ষ লক্ষ টাকা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম