।। প্রথম কলকাতা ।।
Meghalaya Assembly Election 2023: দরজায় কড়া নাড়ছে মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচন। সকল রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবারে মেঘালয়ে কড়া টক্কর হতে চলেছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা ও তাঁর পুরনো বিরোধী মুকুল সাংমার। বাংলার বাইরে নিজেদের ভীত শক্ত করার চেষ্টা করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন দল। মেঘালয়ের রাজনীতিতে তাঁদের এন্ট্রি কতটা জোরদার হবে? তা বোঝা যাবে এই ভোটের ফলাফলে। তবে ঘাসফুল ভরসা রেখেছে মুকুলে। কংগ্রেসকে হাঁটিয়ে এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় নাম উঠে এসেছে তৃণমূলের। যদিও সেটা ভোটে জিতে নয়, কংগ্রেসের প্রায় ১২ জন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে (Trinamool)। আর তাতেই প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয়ে লড়াইয়ের জন্য সমস্ত রকমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এই মর্মে পশ্চিমবঙ্গে যে সকল প্রকল্প চালু করেছে তৃণমূল, সেই একইভাবে মেঘালয়ে (Meghalaya) একাধিক প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাঁরা। তবে মেঘালয়ের ভোটে মূলত যে ফ্যাক্টর রয়েছে, তা হল মেঘালয়-অসম সীমান্ত সংঘাত।
মনে করা হচ্ছে, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের সমস্যা নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। বর্তমানে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। ২০১৮-য় তিনি তাঁর পার্টিকে নিয়ে বিজেপির (BJP) সঙ্গে জোট গড়ে লড়েছেন উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। এবার সেই দলের বিরুদ্ধে চলতি মাসে ভোটে নামছেন তিনি ও তাঁর পার্টি এনপিপি। এছাড়া মেঘালয় রাজনীতিতে বহুবার ভোটে প্রকট হয় শাসক বিরোধী হাওয়া। এই মুহূর্তে কনরাড সাংমার সরকার দুর্নীতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় খারাপ অবস্থা ও বেকারত্বের মত বিষয়ে জর্জরিত। আর তাকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা।
২০১৮-তে ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভা ভোটে মুকুল সাংমার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস (Congress) ২১ টি আসন জিতেছিল। এনপিপি ১৯টি, ইউডিপি ৮টি, পিডিএএফ ৪টি, বিজেপি ২টি আসন দখল করেছিল। নির্দল জিতেছিল ১ জন। পরবর্তীতে ২০২১-এ মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১২ জন বিধায়ক যোগ দেয় তৃণমূলে। বাকি কংগ্রেস বিধায়করা যোগ দিয়েছিলেন এনপিপিতে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, দুর্নীতি মেঘালয় রাজনীতির ভাগ্য নির্ধারণে সব থেকে বড় ফ্যাক্টর। জয়ন্তিয়া, খাসি, গারো পাহাড়ি উপত্যকায় এই দুর্নীতি ইস্যু খুব বড় আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে হাত শিবিরের ভাঙনে লাভ হতে পারে বিজেপির, বিশ্লেষকদের দাবি এমনটাই। এবারের নির্বাচনে উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের মধ্যে কমিশনের নজর রয়েছে ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের দিকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম