।। প্রথম কলকাতা ।।
কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা সরানোর প্ল্যান কার ঘরে বসে হয়েছিল জানেন? মহেন্দ্র সিং ধোনি ৫ অগস্ট কী করছিলেন কাশ্মীরে? পাকিস্তানকে কীভাবে ঘোল খাওয়ানো হয়েছিল? চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরলেন লেফন্ট্যানেন্ট জেনারেল ধিঁলো। একেবারেই মুখের কথা ছিল না তবুও বড় রিস্ক নিয়েছিল মোদী সরকার। যার পরিণাম মন খুলে আজ অক্সিজেন নিচ্ছে ভারতের জম্মু কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা বাতিলের ব্যাক স্টোরিটা আজ জানুন এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল ভারতে বলা যেতে পারে খাস কাশ্মীরের মধ্যেই চলছিল পেপার ওয়ার্ক। তা সত্ত্বেও কেন টের পেল না পাকিস্তান? আইএসআই-এর নেটওয়ার্ক কি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছিল নাকি ভারত আসলে পেতেছিল বড় একটা ফাঁদ?
৩৭০ ধারা বাতিলের সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনীর নাম কেন জড়িয়ে যাচ্ছে? মাত্র আড়াই জনই নাকি জানতেন কী ঘটতে চলেছে উপত্যকায়। ইন্ডিয়া টুডের লাল্লানটপ ইউটিউব চ্যানেলে এসে এমনই কিছু গোপন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন লেফন্ট্যানেন্ট জেনারেল কেজেএস ধিঁলো দেশ। ২০১৯, ৫ অগাস্ট তার ঠিক ২-৩ দিন আগে থেকে বোঝা যাচ্ছিল কাশ্মীরে কিছু একটা ঘটতে চলেছে কিন্তু পরিকল্পনা যে আগেই ছিল কাকপক্ষীও তা টের পায়নি, গোপনীয়তা রাখা হয়েছিল এতটাই। লেফন্ট্যানেন্ট জেনারেল জানাচ্ছেন কোর কামন্ডার অর্থাত তাঁর বাড়ির ড্রয়িং রুমে বসেই হয়েছিল ৩৭০ ধারা বাতিলের গোটা পেপার ওয়ার্ক। সেখানেই বসে সব কাজ করে সব ডকুমেন্ট কোর কমান্ডারের বাড়িতেই রেখে যাওয়া হত। ধিঁলো ছাড়া একজন পুরো আর একজন কিছুটা জানতেন কী ঘটতে চলেছে।
পাকিস্তান বা উপত্যকায় ঘাঁটি গাড়া বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা যাতে কোনওভাবে কোনওমতে কিচ্ছু টের না পায় তার বিশেষ বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছিল এক্ষেত্রে। সাক্ষাতকারে ধিঁলো জানিয়েছেন ২০১৯, ৫ অগাস্ট নিজের বাড়িতে বসে দেড় ঘন্টা মহেন্দ্র সিং ধোনীর সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন ধিঁলো। তিনি রিল্যাক্স মুডে এজন্যই ছিলেন কারণ তিনি যদি কোনওধরণের মুভমেন্ট করতেন মিটিং করতেন বা বাইরে বেরিয়ে অ্যাকটিভ হতেন তাহলে পাকিস্তানের কাছে খবর চলে যেত আদতে কী হতে চলেছে। ধিঁলোর লেখা বই কিনতে গাজি আয়ে-তেও এর উল্লেখ রয়েছে বলে জানান তিনি জানা গিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এই লেফন্ট্যানেন্ট জেনারেল কেজেএস ধিঁলোই বলেছিলেন ইতিহাস তৈরি করতে হলে কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম